বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে তন্ময়

বুধবার, মে ২৪, ২০২৩

জাতির সংবাদ ডটকম।।

‘ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে আছে তরুণ মুজিবের নান্দনিকতা ও আদর্শ’- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া এ নিদর্শনকে বুকে নিয়েই দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ সংগঠনটির নেতাকর্মীরাও। সেই আদর্শকে বুকে নিয়ে অন্যান্য সহকর্মীদের মতোই নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত শের-ই-বাংলা নগর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সম্রাট হোসাইন তন্ময়।

সম্রাট হোসাইন তন্ময় রাজধানী ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের তেলেঙ্গা গ্রামের মো: মোসলেম মিয়ার ছেলে এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রীণ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। চার ভাইয়ের মধ্যে বড় তিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি কিশোর বয়স থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন মধ্যবিত্ত পরিবারের এই মেধাবী সন্তান।

 

সম্প্রতি গ্রীণ ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে কথা হয় তার সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে। তাদেরই একজন আহমেদ রাজ। ইলেকট্রিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের এ শিক্ষার্থী বলেন, সম্রাট হোসাইন তন্ময় আমাদের ক্যাম্পাসের বড় ভাই। কলেজে আসার পর থেকেই আমি তাকে জানি এবং তার সাথে চলি। তন্ময় ভাই নিজ দলের জন্যে নিবেদিত প্রাণ, দলের ডাকে সবার আগে ছুটে যান তিনি। ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্যেও তিনি সহানুভূতিশীল। তারা কোন সমস্যায় পড়লে তিনি তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

 

একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা তোশারফ আরনাজ নীল অতিতের স্মৃতিচারন করে বলেন, করোনার সময়ে আমরা একই সাথে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছি। লকডাউনের মধ্যেও জীবনের ঝুকি নিয়ে অসহায় মানুষকে খাবার দিয়েছি, মাস্ক দিয়েছি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছি, এবং নগদ অর্থ সহায়তাও করেছি। মূলত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আদেশ ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা মেনেই মানুষের পাশে থেকেছি তার সাথে। তন্ময় ভাইয়ের নেতৃত্বের মধ্যে সব সময় মানবিকতা কাজ করে।

 

কৈলাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মাকসুদুল হাসান বলেন, সম্রাট হোসাইন আমাদের গ্রামের সন্তান। ভদ্র-মার্জিত ব্যবহারের জন্যে গ্রামে তার সুনাম রয়েছে। শহরে থাকলেও গ্রামের মানুষের জন্যেও কাজ করেন তিনি। বিশেষ করে গ্রামের কৃষকদের অধিকার আদায়ে তিনি আপোষহীন। আর এর জন্যে সম্প্রতি বিপদেও পড়তে হয়েছে তাকে। তবে সব বাধা অতিক্রম করে তিনি এগিয়ে যাবেন- এটাই বিশ্বাস করি।

 

এ বিষয়ে সম্রাট হোসাইন বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার বাবা একজন কৃষক হলেও তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রীয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। আমি ঢাকা মহানগরে সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত হলেও আমার গ্রামের মানুষের কল্যাণে ও উন্নয়ণে কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমার থানাধীন ইছামতি নদীতে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে একটি চক্র নদী থেকে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে আসছে। আমি উক্ত বিষয়ে সোচ্চার হওয়ায় স্থানীয় ভূমি দস্যুদের হাতে লাঞ্ছিত ও মিথ্যা অপবাদের শিকার হতে হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘সততা, আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে কাজ করলে যে কোনো রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রেই সাফল্য পাওয়া সম্ভব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সেটাই প্রমাণ করে গেছেন। কাজেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। আর এর জন্য যত বাধাই আসুক প্রতিহত করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে যেতে হবে।

 

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ও মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের নির্দেশনায় এবং সাংসদ আসাদুজ্জামান খান কামালের অনুপ্রেরণায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন গ্রীণ ইউনিভার্সিটির এ মেধাবী শিক্ষার্থী। এছাড়াও নবাবগঞ্জের এ যুবক স্থানীয় অসহায় মানুষের অধিকারের জন্যেও নির্ভীক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশনায়। আর এ জন্য বাধার মুখেও পড়ার অভিযোগ রয়েছে হচ্ছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাতে। তবে হাজারো বাধার মুখেও সোনার বাংলা গড়ায় অংশীদার হতে চান সম্রাট।