জাতির সংবাদ ডটকম।।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের প্রতি বিদেশি নাগরিকদের সম্মান প্রদর্শনের কিছু ছবি নিয়ে ফোজিত শেখ বাবু’র আলোকচিত্র প্রদর্শনী “শ্রদ্ধা” এর আয়োজন করে বি এস এম এম ইউ।
১৭ই মার্চ, ২০২৩ইং সকাল ৭.৩০ মিনিটে ফিতা কেটে ফোজিত শেখ বাবু’র দুই দিনব্যাপি আলোকচিত্র প্রদর্শনী “শ্রদ্ধা” এর উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ। প্রর্দশনীর উদ্বোধনের পর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর গণ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা লন্ডনে বঙ্গবন্ধু’র প্রতি বিদেশি বন্ধুদের অকৃত্রিম ভালোবাসার বহি:প্রকাশের ছবি দেখে মুগ্ধ ও অভিভূত হন।
ফোজিত শেখ বাবু’র তোলা ছবি নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ১৮ মিনিটের বক্তব্যটি এখন বিশ্ব সেরা ও সুপ্রতিষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বের কাছে জনপ্রিয় বিশ্ব নেতা। বিদেশি বন্ধুদের কাছে তিনি যে জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধেয় তা ফোজিত শেখ বাবুর তোলা এ ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায়।
প্রদর্শনীর ছবি দেখতে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমী), অধ্যাপক ডা. ছয়েফউদ্দিন আহমেদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন), অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষনা ও উন্নয়ন) ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, কোষাধ্যক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, ছাত্র, শিক্ষক কর্মচারি-কর্মকর্তাগণ। এসময় ঢাকা মিডিয়া ক্লাব লিমিটেড এর সভাপতি অভি চৌধুরী ও ফটো সাংবাদিক রুবিনা, মো. আল ইমরান।
১৭ মার্চ ১৯২০ সালে বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন, এ দিনে জন্মেছিলেন রাজনীতির মহাকবি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতির বহু বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙ্গার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে জন্ম নিয়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ নামক এক নতুন জাতি রাষ্ট্রের। এই মহানায়কের ১০৩তম জন্মদিনে তাঁর প্রতি রইল অন্তরের অন্তরস্থল হতে বিনম্র শ্রদ্ধা সম্মান ও গভীর ভালোবাসা।
লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাষ্কর্য ঘিরে গড়ে উঠেছে বিদেশি বন্ধুদের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা সম্মান আর ভালোবাসার মেলবন্ধন। সিডনি স্ট্রিট, পূর্ব লন্ডন শহরের টাওয়ার হ্যামলেটে স্থাপিত হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই নান্দনিক আবক্ষ ভাষ্কর্যটি।
ভারতীয় দু’জন শিল্পীর তৈরি পিতলের এই আবক্ষ ভাষ্কর্যটি স্থাপনের জন্য আবেদনের পর ২০১৪ সালের জুলাই মাসে লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটের কাউন্সিলের অনুমোদন পান প্রবাসি আওয়ামী লীগ নেতা আফসার খান সাদিক।
পরবর্তিতে এর দুই বছর পর ১৭ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাষ্কর্যটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রয়াত রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন। উদ্বোধনের সময় বিপুল সংখ্যক বিদেশি বন্ধু ও প্রবাসী বাঙালি উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় ব্রিটেনের মাটিতে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য স্থাপন এটিই প্রথম। পূর্ব লন্ডনের সিডনি স্ট্রিট বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা হলেও প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক লন্ডনের স্থানীয় বিদেশি বন্ধুরা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা আসছেন বঙ্গবন্ধুর এই আবক্ষ ভাষ্কর্যটি একপলক দেখার জন্য। সিডনি স্ট্রিটে এসে ভাষ্কর্যটি দেখে উৎসব-আনন্দে মেতে উঠছে, বিদেশি বন্ধুরা ভাষ্কর্যটির সামনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি অনুসারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি “শ্রদ্ধা” সম্মান ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করছেন।
প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক বিদেশি বন্ধুদের উপস্থিতিতে আফসার খান সাদিকের বাগান বাড়িটি এখন মিনি জাদুঘরে পরিণত হয়েছে ও লন্ডনের ট্যুরিস্ট বাসগুলো পর্যটকদের নিয়ে এই স্থানে আসে। ২০১৮ সালে আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবু বিশ্বের সবচেয়ে অবহেলিত রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর দুঃখ দুর্দশার চিত্র নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী করতে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে যান।
প্রদর্শনী চলাকালীন সময় ফোজিত শেখ বাবু সিডনি স্ট্রিটের বঙ্গবন্ধর ভাষ্কর্যটির সামনে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। এসময় আবক্ষ ভাষ্কর্যটি ঘিরে বিদেশি বন্ধুদের বঙ্গবন্ধুর প্রতি “শ্রদ্ধা” সম্মান আর ভালোবাসার বহিঃপ্রাশের ছবি তুলেন।
দিনভর ভাষ্কর্যটির সামনে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে উৎসব-আনন্দে সময় কাটান। আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবু নিজেই ব্রিটেনের মাটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষ্কর্যটি দেখে মুগ্ধ ও অভিভূত হন।
ফোজিত শেখ বাবু সকলের প্রতি জোর দাবি জানান যে, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে লন্ডনের মতো বিশ্বের সকল দেশে বঙ্গবন্ধু’র ভাষ্কর্য স্থাপন করা হোক। এর ফলে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরো পৃথিবীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন জাতির কাছে সম্মান আর ভালোবাসার মানুষ হিসেবে অমর হয়ে থাকবেন।