বদলির আদেশের ২৭দিন অতিবাহিত হলেও কর্মস্থল ছাড়েননি প্লাবন!

বুধবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা (পিআইও) প্লাবন পালের’র খুঁটির জোর কোথায়? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে চুনারুঘাটের সচেতন জনগণের মাঝে। অধিদপ্তর কর্তৃক বদলির আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে কার্যক্রম। জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তাসনূভা নাশতারান স্বাক্ষরিত ৫১.০১.০০০০.০০৩.১৯.০১৫.২৩.৬৬২ নং স্মারকের অফিস আদেশে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে বদলি করা হয় প্লাবন পালকে । স্মারকে বলা হয় মাধবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুনকে চুনারুঘাট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেন। ওই অফিস আদেশে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ১৪ আগস্টের পূর্বে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করলে তাৎক্ষণিকভাবে স্ট্যান্ড রিলিজ বলে গণ্য হবে। অফিস আদেশের ২৭ দিন পেরিয়ে গেলেও বদলি হওয়া কর্মস্থলে যোগদান না করেই দিব্যি চুনারুঘাট অফিসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতা ওই অফিসে হানা দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে খোঁজাখুঁজি করেছিল। দপ্তরে না পেয়ে উত্তেজিত জনতা চলে যায়। ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চুনারুঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন প্লাবন পাল। দীর্ঘ ৫ বছর একই কর্মস্থলে থেকে নানা সমালোচনার সৃষ্টি করেন। উল্লেখ্য যে, বিগতে দিনে চুনারুঘাট উপজেলায় আশ্রয় প্রকল্প নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারসহ নানান অভিযোগে সমালোচিত হন তিনি। তখনকার সময়ের সরকার দলীয় লোকদের ম্যানেজ করে টি আর, কাবিটা, বিভিন্ন ব্রিজ, কালভার্ট ও টিন বিতরণেও অনিয়ম করেছেন।
অভিযুক্ত চুনারুঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল বদলির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমি স্টে অবস্থায় আছি। তিনি আরও বলেন, আমি যতদিন ইচ্ছা সেখানে থাকবো। আমি অধিদপ্তর ও জেলা পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই চলছি।
মাধবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুন বলেন, আমি ওনাকে (প্লাবন পাল) বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। আমি জেলা ও অধিদপ্তরে ওনার বিষয়ে কথা বলেছি।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার জানান, উনার বদলি আদেশ বিষয়ে অবগত আছি। কিন্তু যোগদানের বিষয় উনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই ভালো জানেন, আমি অবগত নই।
হবিগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমী রাণী বলের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করেছেন। তার বক্তব্যতে স্পষ্ট বুঝা যায় প্লাবন পালকে তিনিই বহাল তবিয়তে রেখেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছন।