
জাতির সংবাদ ডটকম।।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য ইসতিয়াক আজিজ উলফাত।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন,
আমি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য দীর্ঘ প্রায় ১ (এক) বছর যাবত। আমি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাথে সংযুক্ত হয়ে, তাদের কাজকর্মের সকল বিষয়ে অনিয়মতান্ত্রিক কার্যকলাপ সংশোধনের জন্য গত ইংরেজি ১৩.০৭.২০২৫ তারিখে একখানা লিখিত দরখাস্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক বরাবর অনিয়ম বন্ধ করার জন্য দাখিল করি। অদ্যাবধি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কর্তৃক অনিয়ম বন্ধ করা হয় নাই। এরপর সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত এডহক কমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের কোন মতামত না নিয়ে ৩৯৩ নিউ ইস্কাটন রোড এর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিসে বসে অতি গোপনে মুক্তিযোদ্ধা কয়েকজন সদস্য মিলে শোনা যায় টাকার বিনিময়ে তাদের ইচ্ছা মাফিক জেলা কমিটি সৃষ্টি করে যাইতেছে যাহার মধ্যে অধিকাংশ কমিটি আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট দলের সদস্য ও অমুক্তিযোদ্ধা এদেরকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ লালমনিরহাট, ঝিনাইদহ এবং খুলনা জেলা উল্লেখযোগ্য। আমি আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের পক্ষ থেকে এহেনও কার্যকলাপের ঘোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অনতিবিলম্বে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এহেনও কার্যকলাপ বন্ধ না করিলে আমি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য পদ হইতে পদত্যাগ করিয়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনিয়ম ও অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হইব।
সংযুক্তি অনিয়ম সমূহঃ-
১) মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নিবন্ধিত প্রথম কমিটি নিয়মমাফিক গঠিত হয় নাই।
২) বর্তমান এডহক কমিটির গঠনও নিয়মমাফিক হয় নাই।
৩) মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আত্মসাৎকৃত টাকা অদ্যাবধি ফেরত পাওয়া যায় নাই।
8) প্রকাশ থাকে যে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আত্মসাৎকৃত টাকা অন্যান্যদের মধ্যে সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) সৈয়দ মুনিবুর রহমান তার মধ্যে একজন ছিলেন, অথচ ঐ ব্যক্তি পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এডহক কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক হয়েছেন।
৫) জামুকা (জাতীর মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) এর দুইজন সদস্য মেজর (অব.) মুনিবুর রহমান এবং সাদেক আহমেদ খান; সম্পূর্ণ নিয়ম বহিঃর্ভূত ভাবে যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একজন যুগ্ম-আহবায়ক এবং একজন সদস্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে।
৬) ইতিপূর্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যে সমস্ত জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে, তার মধ্যে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এবং অমুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমর্থকরা তাদের নাম কমিটি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।