জাতির সংবাদ ডটকম।।
মঙ্গলবার ৮৫ নয়াপল্টন, মসজিদ গলি সংগঠনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ‘র চেয়ারম্যান শফিকুল গাণি স্বপনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের সভাপতি কামাল ভূইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ এর সহ-সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, ঢাকা মহানগরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক উত্তরসূরী, জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া‘র জেষ্ঠ্যপুত্র, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ‘র চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা শফিকুল গাণি স্বপনের ১৪তম মত্যুবার্ষিকী। বহু প্রতিভা ও মেধাশক্তির অধিকারী প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক চেতনার মানুষ, সংগ্রামী ও মেধাবী রাজনীতিক জননেতা শফিকুল গাণি স্বপন ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রংপুর জেলার আজকের নীলফামারী জেলার সদরে এদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ঔরষে জন্ম গ্রহন করেন। মা হচ্ছেন মরহুমা সাবেরা রহমান (ছবি)। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মশিউর রহমান যাদু মিয়া মৃত্যুবরণ করলে শফিকুল গাণি স্বপন রাজনৈতিক দৃশ্যপটে সরাসরি আর্বিভূত হন। পিতার মৃত্যুতে শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর সদর ও নীলফামারীর ডোমার-ডিমলা আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী, বেসামরিক ও বিমান পর্যটন মন্ত্রী ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যু মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ-এর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাংবাদিক হিসাবেও তিনি ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী। বাংলা ও ইংরেজী ভাষার অসাধারন দখল থাকার কারনে তিনি বাংলা ও ইংরেজী সংবাদপত্রের জগতে সাপ্তাহিক বঙ্গব্যাপী ও ওইকলি ফ্রাইডে প্রকাশ করেছিলেন। যা অল্প সময়ে পাঠক প্রিয়তা পেয়েছিল। ক্রীড়াঙ্গনেও তিনি যথেষ্ঠ অবদান রেখেছেন। দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব-এর গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে ক্লাবকে সুসংগঠিত ও তাঁর ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে তিনি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। শেষ মুহুর্তেও দেশের শক্তির বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্র প্রতিরোধের আকাংখা নিয়ে পুঞ্জিভুত দুঃখকষ্ট নিয়েই ২০০৯ সালের ২৩ আগষ্ট মৃত্যুবরণ করেন।