বাংলাদেশ বে-সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন

সোমবার, জুলাই ১০, ২০২৩

জাতির সংবাদ ডটকম।।সোমবার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে বাংলাদেশ বে-সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি- এর উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২৭/০৫/২০১২ইং তারিখের পূর্বে স্থাপন ও চালুর জন্য আবেদিত সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন মোঃ বদরুল আমিন সরকার (ফরহাদ) সভাপতি ও উপস্থাপনায়- মোঃ ফরিদুল ইসলাম, মহাসচিব, বাংলাদেশ বে-সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, উপস্থিত আছেন সমিতির সকল নেতৃবৃন্দ ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মহান স্থপতি হাজার বছরের কোষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে ০১/০৭/১৯৭৩ খ্রি. তারিখে এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় প্রথমত- ৩২ হাজার এবং পরবর্তীতে বাদ পড়া আরো ৪৩২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে দেশকে প্রাথমিক শিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্ত করেন। দীর্ঘ ৪০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখনই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হাতে নিয়েছেন, তখনই ০৯/০১/২০১৩ খ্রি. তারিখে এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় ২৬১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদেরকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে জাতির পিতার মতো আরো একটি ইতিহাস রচনা করেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জাতীয়করণকালীন পরিসংখ্যান করা হয়েছিল তা সঠিক না হওয়ায় আরো জাতীয়করণযোগ্য উপজেলা, জেলা হতে যাচাই-বাছাইকৃত ২৭/০৫/২০১২ তারিখের আবেদিত সকল বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি ঐ সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি চলতি অর্থ ব জাতীয়করণ করে বেসরকারি শিক্ষক নামক অভিশাপ থেকে আমাদেরকে মুক্ত করবেন।

ইতিপূর্বে আমরা জাতীয়করণের জন্য ২০১৮ সালে ১৮ দিন ও ২০১৯ সালে ৫৬ দিন ও ২০২১ সালে ৭ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও অনশন কর্মসুচি পালন করেছি। তখনকার সময় আকরাম আল হোসাইন অতিরিক্ত সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি দল এসে আমাদের জাতীয়করণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো জাতীয়করণের আওতায় আসলে দেশের লক্ষ লক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীর পাঠদান ও সেই সঙ্গে বেকারত্ব দূর হবে।

এবং ঘরে ঘরে চাকুরীর ব্যবস্থা হবে। যা বর্তমান সরকার জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আমি আপনাদের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই আগামী ১৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখের মধ্যে আমাদের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো জাতীয়করণ কর্মরত শিক্ষকদের সরকারি করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসলে আমরা আগামী ৩০ আগস্ট ২০২৩ তারিখ এর মধ্যে প্রত্যেক বিভাগে জাতীয় করনের দাবীতে শিক্ষক সমাবেশ এবং ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকার সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

 

আপনারা সমাজ ও জাতীর বিবেক তাই আমি আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তথা সারা বাংলাদেশের অবহেলিত প্রাথমিক শিক্ষক/শিক্ষিকার প থেকে বিশেষ ভাবে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি আপনাদের প্রচার এর মাধ্যমে আমাদের বিষয়টা তুলে ধরুন যাতে  প্রধানমন্ত্রীর সুনজরে আসে। এতে হয়তো আমরা এই অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি পেতে পারি।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত আছেন জনাব মোখলেছুর রহমান মানিক, নীলা রানী দাস, মোবারক হোসেন, সামছুল হক, ওহেদুজ্জামান মিলন, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল মালেক, আব্দুস ছামান সফি, বাবুল আক্তার, নেহার আক্তার, মহসিন, মোঃ শাহজাহান, মাহবুবা আক্তার মালা,আব্দুল জলিল, মুকছেদ আলী, সেলিম মিয়া, নাজিয়া খাতুন, দেব দত্ত, জাকারিয়া মাসুম, ইউনুছ আলী, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুছ, মাকসুদা খানম, ফজলু মৃধা ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।