বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন এর নাম ব্যবহার করে কথিত কাউন্সিল আয়োজনে ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা

বৃহস্পতিবার, মার্চ ৯, ২০২৩

জাতির সংবাদ ডটকম।।

সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় বৈধ কাউন্সিলরগণের প্রত্যক্ষ সমর্থনে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন এর নাম ব্যবহার করে কতিপয় কর্মচারী কথিত কাউন্সিল আহবান করায় সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায় বিগত ২৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে ঐতিহাসিক ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪-১২-২০১৯ তারিখ শেরে বাংলাস্থ জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ সমর্থনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যথাক্রমে মোঃ হেদায়েত হোসেন ও মোঃ আকতার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন যা ঐদিনে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্রায় সকল পত্রিকায় ছাপানো হয়। এরপর থেকে সংগঠনটি যাবতীয় সকল সাংগঠনিক নিয়ম-তান্ত্রিক উপায়ে পালন করে আসছিল। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে এ সংগঠনের উদ্যোগে বছরব্যাপি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিযোগীতাসহ দেশ সেরা ১০০ জনকে ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পুরস্কৃত করে পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
বিগত দেড় বছর যাবত কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবীর কথা বলে আন্দোলন মুখী করার প্রচেষ্টায় জেলায় জেলায় এক একবার এক ধরণের ব্যানার ব্যবহার করে ওয়ারেছ আলী ও খায়ের আহমেদ মজুমদার নামক এক সকয়ের কর্মচারী নেতারা জোর তৎপরতা চালায়। এক সময়ে সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সাথে যুক্ত হয়ে এক মহাসমাবেষ আয়োজনের উদ্যোগ নেয়। এক পর্যায়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সাথে নেতৃবৃন্দের এ বিষয়ে একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকে কর্মচারীদের দাবী

বাস্তবায়নে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সভা আহবানের সিদ্ধান্তও হয়। এই বৈঠকে ওয়ারেছ আলীর উধ্যত্বপূর্ণ ও অশোভন আচরণে উপস্থিত প্রায় সকলে বিব্রত হন। বৈঠকে মহাসমাবেশ স্থগিতের সিদ্ধান্ত হওয়া সত্ত্বেও ওয়ারেছ খায়ের গং বা অপর একটি ব্যনারে সমাবেশ এর প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

ওয়ারেছ এবং খায়ের মজুমদার তৎপরতায় সরকারি বিরোধী একটি শক্তির সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসায় এবং সংস্থাটির কঠোর অবস্থানের কারণে তারা সমাবেশ করতে ব্যর্থ হয়। আগামী ১১ মার্চ আবার ওয়ারেছ খায়ের মজুমদার গং কাউন্সিল এর নামে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন এর ব্যনার ব্যবহার করে আবারো কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। এন এস আই এর ছাড়পত্র না পাওয়ায় তাদের অনুকূলে বরাদ্দকৃত এলজিইডি এর হল রুম বরাদ্দও বাতিল করা হয় বলে জানা গেছে।

কাউন্সিলের পোষ্টারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান এর নাম থাকায় ফেডারশেন এর নির্বাচিত বর্তমান নেতৃবৃন্দকে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন সরকার বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হবার সুযোগ প্রদানসহ কথিত নেতাদের কাল্পনিক ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী মহোদয়গণ যদি সরকার বিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করেন তাহলে তো আমাদের কিছু করনীয় নেই । প্রেস বিজ্ঞপ্ত