বাগেরহাট-৪ আসনের রেজওয়ানুল হক সবুজ এখন রাজনৈতিক মহলে আলোচনায়

মঙ্গলবার, আগস্ট ৫, ২০২৫

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

বাগেরহাট- ৪ (মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের একজন সাহসী, আপোষহীন এবং সংগ্রামী নেতা রেজওয়ানুল হক সবুজ এখন রাজনৈতিক মহলে আলোচনায়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির জরুরি অবস্থার পর বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে যুক্ত থেকে তিনি রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই ত্যাগ ও সংগ্রামের নজির স্থাপন করেন।

২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে বিএনপির ডাকা আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি ছিলেন সামনের কাতারে। মহাখালী, বনানী, গুলশানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২ বছরের বেশি সময় তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে। কারাগারে থাকা অবস্থায় মাস্টার্স পরীক্ষাও দিতে হয়েছে, যা তার অধ্যবসায় ও প্রতিজ্ঞার দৃষ্টান্ত।

২০১৩ সালের সর্বাত্মক অবরোধে গুলশান থেকে মশাল মিছিলের সময় গ্রেফতার হয়ে এক বছরের সাজা ভোগ করেন। রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে ২০টিরও বেশি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার প্রতিটিতে তিনি আদালতে হাজিরা দিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের আগেই বিএনপির পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে তার বিরুদ্ধে দুই বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়, এরপর থেকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগপর্যন্ত তিনি নিরাপত্তা হুমকি সত্ত্বেও সাধারণ জনতার পাশে থেকে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছেন।

চারবার পুলিশের হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন, ২০১৪ সালে পল্টনে বোমার আঘাতে আহত হয়ে এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ছাত্র রাজনীতিতে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় ছিলেন – তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি ছিলেন এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলার আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন, কারাগারে থাকা কর্মীদের খোঁজখবর রেখেছেন এবং গুলিবিদ্ধ ছাত্র-জনতার পাশেও থেকেছেন নিরলসভাবে।

বাগেরহাট-৪ আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি হতে পারেন একজন ত্যাগী, অভিজ্ঞ ও সংগ্রামী জনপ্রতিনিধি – এমনটাই মনে করছেন এলাকার সাধারণ জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীরা।