বাঙালি হিন্দুদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা পাইকগাছার চারিদিকে সাজ সাজ রব,প্রস্তুত ১৪৪ মন্ডপ

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫

 

পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ

চারিদিকে সাজ সাজ রব, দুর্গার আগমনি বার্তা।দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব হল দেবী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত একটি হিন্দু উৎসব।এটি সারা বিশ্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বারা পালিত হয়, তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ওড়িশা, বিহার, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ (পূর্বাঞ্চল) এবং বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। এটি বাংলা বর্ষপঞ্জির আশ্বিন ও কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গাপূজা মূলত দশ দিনের উৎসব যার মধ্যে শেষ পাঁচটি সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। আশ্বিনের নবরাত্রির পূজা শারদীয় পূজা এবং বসন্তের নবরাত্রির পূজা বাসন্তিক বা বসন্তকালীন দুর্গাপূজা নামে পরিচিত। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার দুর্গাপূজা ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রমতে সমস্ত বিপদ-আপদ ও দূর্গতী নাশ করেন যিনি তিনিই দুর্গতীনাশিনী, তিনিই হচ্ছেন দেবী দুর্গা। আর সেই দেবী দুর্গা প্রতি বছর একবার শরতের শুরুতেই ব্যাপক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে ধরণীতে আসেন। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে কপিলমুনি এলাকার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে অত্যন্ত ব্যাস্ততার সাথে চলছে প্রতিমা প্রস্তুতে কাজ। প্রতিমা ভাস্করদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় প্রতিটি বিগ্রহ দেবতার রুপ পাচ্ছে। মন্ডপগুলো যেন ভাস্করদের সাধনাস্থলে রুপ নিয়েছে।
সরেজমিনে মন্ডপগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মন্ডপেই প্রতিমা শিল্পীরা দুর্গা প্রতিমা তৈরী ও মন্দির সাজানো কাজ করে চলেছেন।
পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এবছর পাইকগাছা উপজেলায় ১৪৪টি মন্ডপে পূজা উদযাপিত হতে যাচ্ছে দূর্গোৎসব, তম্মধ্যে ১নং হরিঢালী ইউনিয়নে ১৭ টি, ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নে ১৬ টি, ৩নং লতা ইউনিয়নে ১২টি, ৪নং দেলুটি ইউনিয়নে১৩ টি, ৫নং সোলাদানা ইউনিয়নে ১০টি, ৬ নং লস্কর ইউনিয়নে ১৭টি, ৭ নং গদাইপুর ইউনিয়নে ৭ টি, ৮নং রাড়ুলী ইউনিয়নে ১৯ টি, ৯ নং চাঁদখালী ইউনিয়নে ১৫ টি, ১০ নং গড়ুইখালী ইউনিয়নে ১২ টি ও পৌরসভায় ৬ টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার শুভমহালয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরাণ মতে এদিন দেবীর চক্ষু দান করা হয়। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দেবী দুর্গার বোধন, ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার ষষ্ঠী পূজা’র মধ্যদিয়ে
দূর্গতীনাশিনী দেবী দুর্গা’র পূজার শুভ সূচনা ঘটবে, আর ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে পূজার সমাপ্তী ঘটবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে। সেনা বাহিনী ও পুলিশের মোবাইল টিম, আনছার ও গ্রাম পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটা পূজা মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা।