বাজিতপুরকে জেলা করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

শুক্রবার, আগস্ট ১, ২০২৫


জাতির সংবাদ ডটকম।।

‎কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বাজিতপুর উপজেলা অনেক আগেই জেলা হওয়া যোগ্যতা অর্জন করেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে আমরা আমাদের বাজিতপুরবাসীর কাঙ্খিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারছি না।


‎ বাজিতপুকে জেলায় রূপান্তরিত করার যৌক্তিক কারন সমূহ তুলে ধরে আজ শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা দাবি করেন ।

‎আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাজিতপুর হলো ভাটি অঞ্চলের প্রবেশদার এবং একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন জনপদ। ভৌগলিক দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় নৌপথ, রেলপথ ও সড়ক পথ সবকিছুই বাজিতপুরে আছে। ১৮৬৯ সালে বৃটিশ সরকার বাজিতপুর পৌরসভা উদ্বোধন করেছিল। অর্থাৎ এই পৌরসভাটি ময়মনসিংহ পৌরসভারও একদিন আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাজিতপুর কে কৃষি জেলা করার লক্ষ্যে বৃটিশ সরকার ১৯১২ সালে ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। কিন্তু ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কারনে তা থেমে গিয়েছিল। ১৮৩৪ সালে বৃটিশ সরকার বাজিতপুর দেওয়ানী আদালত প্রতিষ্ঠা করে তার ঠিক বছর পর অর্থাৎ ১৮৩৫ সালে বাজিতপুর থানা গঠিত হয়। এখানে রয়েছে একটি হ্যালিপেড এবং এক জেলখানা। বেসরকারী ভাবে প্রথম মেডিকেল কলেজ বাজিতপুরেই প্রতিষ্ঠিত হয়।

‎সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, ভৌগলিক অবস্থান, খাসভূমি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইতিহাস ঐতিহ্য বিবেচনায় বাজিতপুরই জেলা হওয়ার যোগ্যতা রাখে বলে আমরা বিশ্বাস করি। মোগল আমলের ঐতিহ্য-প্রাচীন মসলিন কাপড় একসময় বাজিতপুরেই তৈরী হতো। এখানে রয়েছে একটি নার্সিং কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পোল্টিন্ট শিল্পের জন্য বাজিতপুরই বিখ্যাত এখানে রয়েছে অসংখ্য জলাময় ও কৃষি জমি নদ নদী ও খাল।



‎অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি হিসেবে ড. রাজ বিহারি ঘোষ।
‎বিশেষ অতিথি হিসেবে এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, প্রধান সমন্বয়ক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।এরফানুল হক নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।
‎বদরুল আলম শিপু, সাবেক জিএস, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।সাবেক ছাত্রনেতা জহির উদ্দিন প্রমুখ।‎ সঞ্চালনা করেন জসিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক, বাজিতপুর পৌর বিএনপি।‎সভাপতি: অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন বাদল, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, বাজিতপুর সরকারি কলেজ।