
শাহজালাল (রাসেল)।।
৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ বায়রার সদস্যবৃন্দের আয়োজনে রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে, সৌদি আরবের একক ভিসার বহির্গমন ছাড়পত্র বন্ধ ও টিকেট এর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও লেবার ফেয়ার ঘোষণার দাবি সহ চলমান সংকট ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বায়রা সাবেক মহাসচিব, কাজী মোঃ মফিজুর রহমান, সঞ্চালনা করেন পুরাবি ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি স্বত্বাধিকারী মোঃ মহিউদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান আঙ্গুর, এছাড়াও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বায়রার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল বারাকাত ভূইয়া , বায়রার যুগ্ম মহাসচিব এম টিপু সুলতান, রিক্রুটিং এজেন্সি মেম্বারস ক্লাবের আহবায়ক কে.এম. মোবারক উল্লাহ শিমুল, শফিকুল আলম ফিরোজ সহ আরো অনেকে।
সভায় বর্তমান উপদেষ্টাদের কাছে ১২ টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
১. সৌদি আরবের একক ভিসায় (১-২৪ পর্যন্ত) সত্যায়ন ছাড়া পূর্বের নিয়মে বহির্গমন ছাড়পত্র প্রদান করতে হবে।
২. কর্মী রিসিভিং কান্ট্রি লেবার উইং এ পর্যাপ্ত দক্ষ লোক বৃদ্ধি করে কর্মীদের সমস্যা ও রিক্রুটিং এজেন্সির সমস্যা সমাধান ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং ২৫ এর অধিক সৌদি গ্রুপ ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে সত্যায়ন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে এবং বিএমইটিতে ও ২/৩ দিনের মধ্যে বহির্গমন ছাড়পত্র দিতে হবে। অন্যথায় সময় ক্ষেপণের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার থেকে হারিয়ে যাবো।
৩. টিকেটের উচ্চমূল্য (মজুদদারি) বন্ধ করে লেবার ফেয়ার চালু করতে হবে।
৪. সকল রিক্রুটিং এজেন্সির সক্ষমতা অনুযায়ী সকল দেশে কর্মী প্রেরণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়নে কর্মী প্রেরণের বাধ্যবাধকতা (২০০ কোটা) বন্ধ করতে হবে।
৫. বাংলাদেশের অর্থনীতির শ্বেত পত্রের আড়ালে জনশক্তি সেক্টরকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র ও অভিবাসন পরিপন্থী কালাকানুন প্রণয়নের অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।
৬. প্রতিবেশী দেশের ইশারায় পরিচালিত সুবিধাভোগী তথাকথিত এনজিওদের অভিবাসন পরিপন্থী ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না।
৭. সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদি ব্যতীত মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন হয়রানি মূলক মামলা (তথা অভিযোগ বাণিজ্য) কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে করা যাবে না। অভিযোগ চলমান প্রক্রিয়ায় এতে রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত চলমান কাজ বন্ধ, সার্ভার লক ও লাইসেন্স নবায়ন কোন ভাবেই বন্ধ করা যাবে না।
৮. রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে কর্মীর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যরা নিরৎসাহিত হয় এবং অভিযোগ বানিজ্যের সাথে যুক্ত চক্রকে শান্তির আওতায় আনতে হবে।
৯. কোন যাচাই বাছাই না করে কথায় কথায় রিক্রুটিং এজেন্সিকে লিবিয়া গিয়ে ভূমধ্য সাগরে ডুবে মারা গেলে, কোন দেশে গিয়ে যুদ্ধে চলে গেলে, কোন দেশে গিয়ে পালিয়ে গেলে দোষারোপ করা চলবে না, কারণ এই সমস্ত কাজ রিক্রুটিং এজেন্সির বাইরে অন্য অসাধু চক্র করে তাই তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
১০. মধ্যপ্রাচ্য সহ প্রচলিত অনেক শ্রমবাজার অভিবাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রতা সহ বিভিন্ন কারণে সৌদিতে নারী কর্মীর ভিসা এবং জর্ডান, কাতার, লেবানন, ওমান, দুবাই সহ আরো দেশে নারীকর্মী প্রেরণ প্রায় বন্ধ। তাই এই সমস্ত শ্রমবাজার পুনরায় ভালোভাবে চালু করার জন্য তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে হবে।
১১. সারাদেশে বিএমইটি’র অকার্যকর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে যুগোপযোগী করে কার্যকর করতে হবে।
১২. বৈষম্য যুক্ত রিক্রুটিং লাইসেন্স এর অনৈতিক শ্রেণীবিন্যাস বন্ধ করুন, করতে হবে।