
ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম। সরকারি বিধিবিধান যেন তার নিকট কচু পাতার পানি।
পেশিশক্তি এবং অন্যান্য অনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষা প্রশাসন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তার কাছে অসহায়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাব ক্লাস্টার ট্রেনিং এর আয়োজন করা হয়।
বিধি অনুযায়ী দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের বাহিরে যাওয়ার বিধান না থাকলেও প্রশিক্ষণ বন্ধ করে প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে চা বাগানে চলে যায়। সেখানে তার নেতৃত্বে আড্ডা গান হয়। শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, বিগত সাব ক্লাস্টার ট্রেনিংয়ে ও প্রশিক্ষণ ফাঁকি স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্র রাবার ড্যাম এ সময় কাটান।প্রশিক্ষণ যেন তার কাছে গান বাজনা আড্ডার বিষয়।এসব বিষয়ে সচেতন মহলে নানা সমালোচনার ঝড়। বিগত সময়ে ও তার বিরুদ্ধে উপজেলার সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করতে গিয়ে বিভিন্ন মহিলাদেরকে নিয়ে এলোমেলো নাচানাচির ভিডিও ভাইরাল সহ
গত ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রি. তারিখে “উচ্চস্বরে বক্স বাজিয়ে মহিলাদের সাথে নাচলেন শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল” শিরোনামে একাধিক পত্রিকায় নিউজ প্রচার হয়। এসব বিষয়ে একাধিক বার উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং জেলা শিক্ষা অফিসার অবগত হলেও অদৃশ্য কারনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস পায়নি।
ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মো: খায়ের মোল্লা জানান, সাব ক্লাস্টার ট্রেনিংয়ের ম্যানুয়াল তৈরি করে দিয়েছি, ম্যানুয়ালে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাহিরের ঘুরাঘুরির কোনো বিধান নাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম জাকিরুল হাসান বলেন,সাব ক্লাস্টার ট্রেনিং শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (TWTMS) এ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাহিরে ঘুরাঘুরি করার কোনো বিধান নেই। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: শাহ আলম বলেন, তার ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি বলে দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, দিনব্যাপী সাব ক্লাস্টার ট্রেনিং চলাকালে বাহিরে ঘুরাঘুরির কোনো বিধান নেই।
এবিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম এর বক্তব্য জানতে একাধিক বার তার মুঠোফোনে কল করলেও কল রিসিভ করেনি।