বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এর খরিদ ও নামজারিকৃত জমি দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।
বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এর সীমানা বেষ্টিত এবং খরিদ ও নামজারী কৃত জমির উপর সিটিমেড পূর্বাচল ভ্যালীর পৃষ্টপোষকতায় নৌবাহিনীর লোগো সম্বলিত নেভাল অফিসার্স হাউজিং স্কীম নামে ঝুলানো সাইনবোর্ড নিয়ে প্লট মালিক ডাক্তার ও পেশাজীবিদের  মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নৌবাহিনীর নাম ভাংগিয়ে  সিটিমেড পূর্বাচল ভ্যালি বিপিএল হাউজিং লিমিটেডের কেনা জমি দখলের চেষ্টা  করছে   বলে  সূত্র জানায়।

জানাযায়, দেশের শীর্ষস্থানীয় ঔষধ কোম্পানীর মধ্যে বায়োফার্মা লিমিটেড  একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প প্রতিষ্ঠান। যার মালিক হচ্ছে প্রায় ৪৫০০ চিকিৎসক। এছাড়াও অবসর প্রাপ্ত সরকারী ও আধা সরকারী সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, আইনজীবি, সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ডার। সৎ ও নিবেদিত ডাক্তারদের পরিশ্রমে তিলে তিলে গড়ে ওঠা রপ্তানী মুখী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি ঔষধ রপ্তানীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে এবং দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রসংশনীয় ভ‚মিকা রাখার ফলে এ প্রতিষ্ঠান স্বল্প সময়ে সর্ব মহলে পরিচিতি লাভ করেছে ও বেশ সমাদৃত হয়ে উঠেছে। বর্ধনমুখী এ প্রতিষ্ঠানের যে কয়টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে বিপিএল হাউজিং লিমিটেড  অন্যতম।

 

বিপিএল হাউজিং লিমিটেড . কোম্পানীটি ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে ব্যবসা শুরু করে। ডাক্তার পেশাজীবীদের  আবাসনের  চিন্তা মাথায় রেখে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের কুশাবো এলাকায় বায়োফার্মা লিমিটেড  ও বিপিএল হাউজিং লিমিটেড ১২৪ বিঘা জমি ক্রয় করে। তার মধ্যে বিপিএল হাউজিং লিমিটেড  ৯৪ বিঘা জমি ক্রয় করে। এ জমি প্রায় ৩০০ জন চিকিৎসক পেশাজীবী গ্রাহকের মধ্যে প্লট হিসেবে বিক্রি করে যাদের মধ্যে অধিকাংশই দেশের স্বনামধন্য ডাক্তার। অবসর প্রাপ্ত সরকারী ও আধা সরকারী সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, আইনজীবি, সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এর মধ্যে রয়েছেন। এলাকার উন্নয়নের সাথে সাথে প্লট ক্রেতার মধ্যে অধিকাংশ ডাক্তার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অত্র এলাকায় বাড়িঘর নির্মাণের প্রস্তুুতি নিচ্ছে। কোম্পানী গ্যাস, বিদ্যুৎ, ও পানি সরবরাহসহ রাস্তাঘাট নির্মাণ কাজ করছে। যার ফলে বিপিএল হাউজিং লিমিটেড  এর সীমানা বেষ্টিত এলাকাটি বাড়িঘর নির্মাণের উপযোগী ও দৃশ্যমান হয়ে উঠছে যা সরেজমিনে দেখা যায়। ইতোমধ্যে অত্র এলাকায় পূর্বাচল ভ্যালি নামে একটি হাউজিং কোম্পানী নেভাল অফিসারদের জন্য ১০০০ টি প্লট বিক্রির চুক্তি করার অপচেষ্টা করেছে বলে সুত্র জানায়।

 

এ হাউজিং ব্যবসার স্বত্বাধিকারী বিক্রেতা সেজে অধিক মুনাফার আশায় নেভাল অফিসারদের প্ররোচিত করে এবং ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নেভাল হাউজিং স্কীম নামে নেীবাহিনীর লোগো সম্বলিত সাইনবোর্ড বিপিএল হাউজিং লিমিটেড  এর রেজিষ্ট্রিকৃত ও নামজারীকৃত জায়গার উপর ২২ টির অধিক সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে। পূর্বাচল ভ্যালীর স্বত্বাধিকারী প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে অধিক লাভের আশায় দেশের একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্টের গভীর ষড়যন্ত্র করছে বলে প্লট মালিক ডাক্তার ও পেশাজীবিরা এ প্রতিবেদককে জানায়। এতে প্লট মালিকদের মনে হতাশা, ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষ জন্ম দিয়েছে। ১৩/১৪ বছর আগে কেনা প্লটের উপর নৌবাহিনীর সাইনবোর্ড দেখে প্লট মালিকদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি এবং জনমনে দেশপ্রমিক এ বিশেষ বাহিনীর উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্ম দিচ্ছে।

 

এলাকাবাসী জানায় নেভাল অফিসারদের জন্য প্লট কেনার পরিকল্পনা মেইন রোড থেকে ১.৫ কিলোমিটার ভেতরে অথচ সাইন বোর্ড ঝুলানো হয়েছে বিপিএল হাউজিং লিমিটেড  এর জায়গায় এবং মেইন রোড সংলগ্ন বিভিন্ন স্পটে। আরএস ৫৯ নং দাগের ৪৪ শতাংশ বিপিএল হাউজিং লিমিটেড  এর কেনা জমির উপরও নেভাল অফিসারদের লোগো সম্বলিত সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে তা প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রতিবেদকের নজরে আসে।

 

স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা  ও গৌরবগাথা ইতিহাস সর্বজন বিদিত। অথচ মুনাফালোভী জমি ব্যবসায়ি জনমনে ভীতি প্রদর্শন ও প্রভাব সৃষ্টি করে নৌবাহিনীকে জমি কিনে দেওয়ার জন্য বায়না করার চেষ্টা করছে। অধিক মুনাফার লোভে অন্যের জমি তাদের কাছে বিক্রি করার অপচেষ্টা মাত্র। নৌবাহিনীকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। স্থানীয় কাউন্সিলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সাথে আলাপ করে জানা যায় উক্ত এলাকার জায়গাগুলো বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এর কেনা। প্লট মালিকদের অধিকাংশ ডাক্তার এবং বিভিন্ন পেশার সুনামধন্য ব্যক্তি পরিবার পরিজন নিয়ে অত্র এলাকা ঘুরে যায়। বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এর সাথে নৌবাহিনীর অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার জন্য সিটিমেড পূর্বাচল ভ্যালীর মালিক জনৈক কাউসার দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়।

লাগানো নৌবাহিনীর সাইনবোর্ড গুলো বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এর জায়গা থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এবং বায়োগ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইতোমধ্যে নৌবাহিনী প্রধানের বরাবরে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা যায়।

 

বিষয়টি জটিলতার দিকে গড়ানোর আগে উভয় পক্ষ বসে মীমাংসায় আসা উচিত বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত। এতে ইন্ধনদাতা ও সুবিধাভোগীদের ষড়যন্ত্র বন্ধ হবে বলে নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে যার নাম্বার-৪২২ তারিখ ০৯-২০-২০২৪ ইং।