বিমানে নারী সহযাত্রীর শরীরে প্রস্রাব, সেই যাত্রী গ্রেপ্তার

শনিবার, জানুয়ারি ৭, ২০২৩

জাতির সংবাদ ডটকম।। ভারতের প্রধান বিমান পরিষেবা সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে নারী সহযাত্রীর শরীরে মূত্রত্যাগের ঘটনায় ছয় সপ্তাহ পর অভিযুক্ত যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাতে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে শঙ্কর মিশ্র নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর শঙ্কর মিশ্রকে রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছে।

গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে ছিলেন তিনি। তার অবস্থান শনাক্ত করতে নজরদারি নোটিশ বা বিমানবন্দর সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। শঙ্কর মিশ্রর অবস্থান সম্পর্কে ‘সুনির্দিষ্ট’ তথ্য পাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তারে বেঙ্গালুরুতে দিল্লি পুলিশের একটি দল মোতায়েন করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি এড়াতে মুঠোফোন বন্ধ রেখেছিলেন শঙ্কর মিশ্র। তবে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছিলেন তিনি। সেই সূত্র ধরে তার অবস্থান শনাক্ত করা যায় বলে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে।

সূত্রটি আরো জানায়, ৩৪ বছর বয়সী শঙ্কর মিশ্র অন্তত একটি জায়গায় ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডও ব্যবহার করেছিলেন।

গত ২৬ নভেম্বর নিউইয়র্ক থেকে দিল্লির পথে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে শঙ্কর মিশ্রর পাশে বসেছিলেন এক নারী যাত্রী। দু’জনই বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করছিলেন। খাবার খাওয়ার পর উড়োজাহাজটিতে আলো কমিয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় পাশে বসা নারীর শরীরে মূত্র ত্যাগ করেন শঙ্কর মিশ্র। তিনি মদ্যপ ছিলেন। ওই নারীর বয়স ৭০ বছর। তিনি ক্রুদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেন।

তবে তা স্বত্তেও ক্রুরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার পরিচালনাকারী সংস্থা টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখর বরাবর চিঠি লিখে অভিযোগ জানালে টনক নড়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের এবং শংকরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক পরিষেবা দেওয়া কোম্পানি ওয়েলস ফারগো শঙ্কর মিশ্রকে চাকরিচ্যুত করেছে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ‘অত্যন্ত বিব্রতকর’ বলেও মন্তব্য করেছে কোম্পানিটি।

ওয়েলস ফারগোর সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ায়। শঙ্কর মিশ্র বহুজাতিক কোম্পানিটির ভারত শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।