
জাতির সংবাদ ডটকম।।
বিলুপ্তির পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো ঘোষিত হয়নি বিএনপির অন্যতম অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি। আর কেন্দ্রীয় কমিটি না থাকায় সারা দেশে সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রমও এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সংগঠনের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শেষ হলেও নেতাকর্মীদের মধ্যে নেই কোনো প্রাণচাঞ্চল্য। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শেষে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো প্রোগ্রামও আয়োজন করা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের হতাশা।
২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ওইদিন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, পরবর্তী সময়ে মৎস্যজীবী দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হবে। এর আগে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রফিকুল ইসলাম মাহতাবকে আহ্বায়ক ও আব্দুর রহিমকে
সদস্য সচিব করে ঘোষিত ১৫৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি পাঁচ বছরের অধিককাল দায়িত্ব পালন করে। সংগঠনটির সভাপতি কিংবা আহ্বায়ক হিসেবে দীর্ঘদিনের দায়িত্ব পালন করা রফিকুল ইসলাম মাহতাব ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট মারা যান। তবে শূন্য পদে কাউকে পদায়ন না করে পরের মাসে মৎস্যজীবী দলের ওই কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তির পরপরই নতুন কমিটি গঠনকে ঘিরে তৎপরতা শুরু হয়। শীর্ষ পদ পেতে নানামুখী লবিং-তদবির শুরু করেন পদপ্রত্যাশীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নতুন কমিটিতে আলোচনায় আছে বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সদস্য সচিব, আব্দুর রহিম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম সনি মো. ফারুক পাটওয়ারী, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, জাকির হোসেন খান, নাদিম চৌধুরী, কবির মাস্টার, জহিরুল ইসলাম বাশার, তবে পাঁচ মাসেও মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটি না হওয়ায় পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা ভর করেছে। দ্রুত কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে বিলুপ্ত কমিটির কয়েকজন নেতা বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ এবং বিভিন্ন জেলাসহ ইউনিট কমিটির ব্যানারে কিছু সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সভা-সমাবেশ হলেও সংগঠন বিকাশের ক্ষেত্রে সেটা পর্যাপ্ত নয়। কেন্দ্রীয় নেতারা কিছু কিছু প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করলেও কমিটি না থাকায় সংগঠনকে বিকশিত করার মতো কার্যক্রম তারা হাতে নিতে পারছেন না। এ ছাড়া কমিটি না থাকায় দীর্ঘদিনের রাজপথের সহকর্মীরা হতাশা থেকে অন্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনে চলে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। এমনটা হলে মৎস্যজীবী দল ত্যাগী ও পরীক্ষিত সহকর্মী হারাবে। তাই কর্মিরা চাচ্ছে মৎস্যজীবী দলের বিগত দিনে আন্দোলনের মৎস্যজীবী দলের ত্যাগী পরিশ্রমী সহকর্মিদের নিয়েই পুনরায় কমিটি ঘোষনা করা হউক।