জাতির সংবাদ ডেস্কঃ দেশে গত এক বছরে (২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর) এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন। এ বছর নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৮ জন। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি (এইডসের ভাইরাস) পজিটিভ শনাক্তের পর এবার এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ বছর এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন। বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি (এইডসের ভাইরাস) পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এবার এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এ বছর রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে বয়সে তরুণদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্তের হার বেড়ে গেছে।
ওয়ার্ল্ডো মিটারসের তথ্যানুসারে, সারা বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা চার কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার প্রায়। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৪ জন।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ ২০২২ সালের তথ্য মতে, দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫১৩ জন। এর মধ্যে এ বছর মৃত্যু হয়েছে ১৯৫ জনের। আগের বছর ২০২৩ সালে মৃত্যু হয়েছিল ২৬৬ জনের। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ২৩২ জন মারা গিয়েছিল।
বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আক্রান্ত কম হলেও ঝুঁকি বেশি। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার এ রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এইচআইভি সংক্রমণের এখনো কোনো প্রতিকার নেই। তবে কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে রোগাক্রান্তদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।