মোঃ মোহন আলী।।
১০ ডিসেম্বর ২০২৫ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ শামছুল আলম।
কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সভার সূচনা করা হয়। তিলাওয়াত করেন তেজগাঁও প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কবি অশোক ধর।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও) এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মজুমদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
আরজেএফ’র চেয়ারম্যান ও জাতীয় দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক এস এম জহিরুল ইসলাম, সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ কামরুজ্জামান আসাদ, শিল্পী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক যুবরাজ খান, কাফরুল প্রেসক্লাবের সভাপতি এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এএফএম রাসেল পাটোয়ারী।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ পরিচালক খন্দকার তারিকুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক কানিজ ইসলাম রুমা, লিগ্যাল এইড চিফ অ্যাডভোকেট নতুন নাহার সীমা এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
প্রধান অতিথি কবি অশোক ধর বলেন, প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা, মর্যাদা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের অধিকার নিশ্চিত না হলে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
প্রধান আলোচক ড. শাহজাহান মজুমদার বলেন, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। কারণ তারা সমাজের দুর্বল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচারের দরজায় আলোর সঞ্চার করছে।
আরজেএফ এর চেয়ারম্যান এফ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, মানবাধিকার তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে যখন আমরা যারা কলমের সৈনিক, আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি, কারণ সত্য তুলে ধরা, অন্যায়ের মুখোশ উন্মোচন করা ও অবহেলিত মানুষের কথাকে জাতির সামনে আনা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
সংগঠনের চেয়ারম্যান সামছুল আলম বলেন, বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে আমরা নতুন করে অঙ্গীকার করছি ন্যায়, সত্য, সমতা এবং মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
আসক প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যই ছিল অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, ন্যায়বিচারের দরজা সহজ করা এবং মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।