আব্দুল বাসেদঃ জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মিরওয়ারিশপুর ডাকাতির ঘটনায় ৭ ডাকাতসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র এবং লুণ্ঠিত স্বর্ণ উদ্ধারও করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ১১ টায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব।এ সময় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, বেগমগঞ্জ মডেল থানার পাশে সিরাজ মিয়ার বাড়ীর রুহুল আমিন মিয়ার টিনশেড বিল্ডিং ঘরের ভিতর অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত ঘরের লোকজনদের মারধরসহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ডাকাতি করে।থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে,গোয়েন্দা পুলিশ অস্ত্রসহ ৫ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে।পরে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২ জনের স্বীকারোক্তিমুলক তথ্যে জানা যায়,সদর উপজেলার পশ্চিম মাইজচরা ডাকাত কামাল (৪৩) ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী ও সর্দার। এ তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত সর্দার কামাল এবং তার সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।পরে ২৯ জুন রাত ৩ টায় বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর গ্রামের একটি বাড়িতে ফের ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়।এ ঘটনায় মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ডাকাত কামালের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।ডাকাত কামালের সহযোগীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা শুরু করে পুলিশ।গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ডাকাত কামালের দল পুনরায় আরেকটি ডাকাতি সংঘটনের জন্য বেগমগঞ্জ এলাকায় আসবে।এ তথ্যে ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করার একপর্যায়ে সংবাদ পাওয়া যায়, মীরওয়ারিশপুরের লালপুর গ্রাম এলাকায় ডাকাত কামালের দল ডাকাতি করার জন্য একত্রিত হবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে লালপুর এলাকাসহ মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের কয়েকটি টিম অবস্থান নেয় এবং গ্রামবাসীকে এ বিষয়ে সতর্ক করে।ডাকাতির সময় পুলিশ স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহায়তায় ৭ জন ডাকাতকে আটক করে। এসময় পুলিশ তাদের হেফাজত হতে ১টি এলজি, ১টি পাইপগান, ২টি কিরিচ, ৩টি ছোরা,১টি গ্রিল কাটার,১টি শাবল উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাতির কিছু স্বর্ণ তারা লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার রিপন স্বর্ণকারের নিকট বিক্রয় করেছে। পরবর্তীতে ডাকাত কামালের দেখানো ও সনাক্ত মতে ডাকাতির মালামাল কেনাবেচার সাথে জড়িত রিপন স্বর্ণকারকে গ্রেফতার করে ডাকাতির সময় লুট ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর থানা ও বেগমগঞ্জে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।