
বেরোবি প্রতিনিধি।।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্রীদের একমাত্র আবাসিক হল শহীদ ফেলানী হল নানান সমস্যায় জর্জরিত বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে যেসব সুবিধা থাকলেও শহীদ ফেলানী হলে তা সীমিত থাকায় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমূলক পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শহীদ ফেলানী হলে আসন সংখ্যা ৩৪৩, অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট নারী শিক্ষার্থী প্রায় তিন হাজারের বেশি। এই তুলনায় মেয়েদের জন্য হলের সংখ্যা মাত্র দুটি, যার মধ্যে একটি বিশেষ প্রকল্পের মেয়েদের জন্য নির্মাণাধীন।
হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ৪ সিট ও ৮ সিটের কক্ষের ভাড়া এক হলেও ৮ সিটের কক্ষে একটি বেড দুই শিক্ষার্থীকে ভাগাভাগি করতে হয়। ছোট বিছানায় দুজন মিলে থাকতে হয় এবং একটি টেবিল-চেয়ারও শেয়ার করতে হয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া রাত সাড়ে ৮টায় গেট বন্ধ করা হয়, যার কারণে টিউশনি শেষে হলে ফেরার সময় সমস্যা হয়।
জানা যায়, হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাইরের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নিয়মিত অনুপস্থিতি এবং নষ্ট সরঞ্জাম দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
আবাসিক শিক্ষার্থী মনিসা আক্তার বলেন, “আমাদের হলে কোনো গেস্ট রুম নেই। বাড়ি থেকে কেউ আসলে বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হয়, যা অস্বস্তিকর। লাইট-ফ্যান নষ্ট হলেও বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরও ঠিক করা হয় না। খাবারের মান খারাপ, অথচ সিট ভাড়াও অন্যদের তুলনায় বেশি।”
আবাসিক শিক্ষার্থী আতিকা ঊর্মি বলেন, “ডাইনিংয়ের খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ। পর্যাপ্ত প্লেট, বাটি, গ্লাস নেই। ভর্তুকি দেওয়া হলে ভালো হতো। রিডিং রুম খুব জরুরি প্রয়োজন, বিশেষ করে পরীক্ষার সময় পড়ার জায়গা পাওয়া যায় না।”
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট সিফাত রুমানা বলেন, “হল আমাদের নীতিমালা অনুযায়ী চলছে। ডাবল করে সবাইকে প্রথমে থাকতে হয়, পরে সিঙ্গেল করা হয়। এটা আগে থেকেই হয়ে আসছে। গেট সাড়ে ৮টায় বন্ধ করা হয়, এটাও হলের নীতিমালা অনুযায়ী।”
তিনি আরও জানান, গেস্ট রুমের ব্যবস্থা হল অফিসের সঙ্গে নিচতলায় করা হবে এবং কাজ চলমান আছে।