ভারতীয় আধিপত্যবাদ রুখে দিতে হবে- জালালুদ্দীন আহমাদ

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

এ দেশের জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু ভারত। ভারত এ দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি সবকিছু দখল করে নিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার তাদের এক তরফা গোলামি করে যাচ্ছে। ভারতের ইশারাতেই পাঠ্যপুস্তকে ইসলামি ইতিহাস, কৃষ্টি-কালচার বাতিল করে হিন্দুত্ববাদ যুক্ত করা হয়েছে এবং মামুনুল হকসহ অসংখ্য আলেমকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

 

আজ (২৩ ফেব্রুয়ারি ২৪) বাদ জুমা বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ডামি নির্বাচন বাতিল, মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি, পাঠ্যপুস্তকে ট্রান্সজেন্ডারসহ বিতর্কিত অধ্যায় বাতিলের দাবি ও ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, যুব মজলিস সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালি। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দিকি।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ বলেন, সরকার ভোটারবিহীন ডামি নির্বাচন করেছে। জনগণ ভোট না দিয়ে সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। তাই গণ দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত পদত্যাগ করুন। ভারতের ব্যাপারে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এদেশের জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু ভারত। তারা এ দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি সবকিছু দখল করতে চায়। আর তাদের এক তরফা গোলালী করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। ভারতের আধিপত্য থেকে এ দেশকে রক্ষা করতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের পুরা অবকাঠামো ভেঙ্গে ফেলেছে। একদিকে রমজান কেন্দ্র করে দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি, অপরদিকে চিকিৎসকের অবহেলায় একের পর এক মানুষ মারা গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তাই আমাদের স্পষ্ট দাবি, আপনারা পদত্যাগ করে জনগণের কাছে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিন।

তিনি আরও বলেন, সরকার পাঠ্য বই থেকে ইসলামী ইতিহাস ও কৃষ্টি-কালচার বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। এ পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা কারিকুলাম অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রহসনের বিচার ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ইশারার রায় দেওয়া হয়। তার ইশারাতেই মাওলানা মামুনুল হককে বন্দি করে রাখা হয়েছে। মামুনুল হককে বন্দি করলেও তার জনপ্রিয়তা কমেনি; বরং তিনি এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে তাকে মুক্তি দিন। তার ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করুন।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, বর্তমান সরকার হলো ডামি সরকার। এই অথর্ব সরকার ভারতের ইশারায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসন ও অন্যান্য সকল সেক্টরের নওফেলের মতো ইস্কনের কট্টর দাসদের ঢুকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের অংশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছে। আর তাই ভারতের গোলামীর শেকলে আবদ্ধ সরকারকে মুক্ত করতে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। দখলদার যত শক্তিশালি হোক না কেন; সংগ্রামীরাই বিজয়ী হয়। আফগানিস্তান এর জলন্ত প্রমাণ।

 

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও বাইতুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরীর বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা আল আবিদ শাকির, সমাজকল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন, প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া আল ফারুকী, দফতর বিভাগের সম্পাদক মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা আবুল খায়ের শরীফী, মাওলানা ওমর মাতুব্বর, মুহাম্মাদ নাঈমুদ্দীন, ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা জাকির হুসাইন, নোয়াখালী জেলা সভাপতি মাওলানা খালিদ মাহমুদ প্রমুখ।