তারিক মাহমুদ রাতুল।।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারত সীমান্তে নিয়মিত নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি আরও বলেছেন, সীমান্ত হত্যার মহোৎসব চালিয়ে ভারত প্রমান করেছে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লংঘন, হত্যার বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা।
তিনি আজ (সোমবার) বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সীমান্তে হত্যা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সীমান্তে সিরিয়াল কিলিংয়ের জন্য ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাতে হবে।
ভারতীয় আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আল্টিমেটাম দিতে হবে। অবিলম্বে ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইমুখ ও ফেনী নদীর পানি বন্টন সমস্যার সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। অবৈধ ভারতীয়দের গ্রেফতার করে বিচার ও ফেরত পাঠাতে হবে। অশ্লীল টিভি চ্যানেল বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করে ইরান বলেন, ‘সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ড। বিএসএফের সহযোগিতা ছাড়া চোরাচালান সম্ভব না। ভারত আন্তর্জাতিক সব রীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে সীমান্তে হত্যার দায়ে মামলা করতে হবে।
লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও নগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলামের কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আমিনুল ইসলাম রাজু, যুগ্ম মহাসচিব হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য মাজহারুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মো. মাসুদ আলম পাটোয়ারী, ডাঃ এম ইউসুফ আলী, কোতয়ালী থানা সভাপতি আনিছ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক রাফসান আহমেদ জীবন, ছাত্রমিশন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ ও রেজোয়ান হোসেন প্রমুখ।
সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন ও গনঅধিকার পরিষদের নগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমাম উদ্দিন।
সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে ১৫ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেশ ও ২৫ সেপ্টেম্বর ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।