
জাতির সংবাদ ডটকম।।
রক্তাক্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জনরোষে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা তার দোসর সহ জুলাই ম্যাসাকারের দায় মাথায় নিয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। টানা ১৭বছরের বর্বরোচিত দুঃশাসনের কারণে তার দলকে বাংলাদেশের জনগণ ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। দিল্লী ও কোলকাতায় বাংলাদেশে নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগকে কার্যালয় করার সুযোগ দিয়ে ভারত কার্যত ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘটানো ইতিহাসের বর্বরোচিত জুলাই গণহত্যার দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছে। ভারতের এই নিন্দনীয় ভূমিকা একদিকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি করছে, অপর দিকে ১৯৭১সনের মুক্তিযুদ্ধে তাদের সমর্থনের আড়ালে থাকা স্বার্থসিদ্ধির কুৎসিত রূপ উন্মোচিত করে দিয়েছে। ভারত আবারও প্রমাণ করল তারা কোনদিনই বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেনি, তারা বরাবরই তাদের এদেশীয় এজেন্ট আওয়ামী লীগের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে। জনগণ আরো নিশ্চিত হয়েছে, ভারতই এদেশে মুসলিম জাতীয়তাবোধ ও ইসলামী চেতনা নিশ্চিহ্ন করার দায়িত্ব গ্রহণের বিনিময়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিয়ে আজ এক রক্তখেকো দানবে পরিণত করেছে। অবিলম্বে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভারতে খোলা সকল অফিস বন্ধ এবং শেখ হাসিনা সহ তার পলাতক সহযোগীদের গ্রেফতার করে বাংলাদেশে হস্তান্তর করার জোর দাবী জানায় মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ।
আজ (২৩ আগস্ট, ২০২৫) বেলা ১০.০০টায় পল্টনস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে দলীয় সভাপতি এড. মহসীন রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সভায় দলীয় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরো বক্তব্য রাখেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আকবর হোসেন পাঠান, সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, ওয়াজির আলী মোড়ল, মাওলানা জহিরুল আনোয়ার, ইঞ্জি. গিয়াসউদ্দিন, শেখ এ সবুর, এম.এ মতিন, মাওলানা আবু জাফর, শেখ এ সবুর, সহ-সভাপতি আলমগীর চৌধুরী, ইসলাম আলী, সিন্টু চৌধুরী, কাজী নাজমুল হাসান সেলিম, মাও. রফিকুল ইসলাম, অতি. মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, মাকসুদুর রহমান, ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ হাসানুজ্জামান মাসুদ, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, সবুর খান, আব্দুল কুদ্দুছ মোল্লা,খাইরুল আলম, কেন্দ্রীয় নেতা রুবেল বিন গাফফার, ফয়সাল চৌধুরী, মুঞ্জুরুল ইসলাম, মো. আলী জিন্নাহ, মশিউর রহমান কায়েস, মহিউল আলম শেলী, ক্যাপ্টেন আনিসুর রহমান, কামরুল ইসলাম, খান রায়হান, আনসার আলী, আব্বাস কাদরী, লিয়াকত আলী, প্রমুখ।
দলের ওয়ার্কিং কমিটির পূর্ণ কোরামে বলা হয়, মুসলিম লীগ নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক দল। এখনো নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগাম প্রস্তুতি হিসাবে সারাদেশে মুসলিম জাতিসত্তার পুনর্জাগরণের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। আলোচিত পিআর পদ্ধতির সবচেয়ে বিপদজনক দিক নিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিবাদী ও ভারতীয় তাবেদারদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পদ্ধতি নিশ্চিত না হলে ভারতীয় এজেন্টদের পুনর্বাসনের দ্বার উন্মুক্ত করা হবে। সভায় কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।