আবুল কাশেম জামালপুরঃ-
ভূমিদস্যুদের হুমকি থেকে বাঁচতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন জামালপুর সদরের টেবির চরের হাসেম আলী। তিনি ওই গ্রামের জমশেদ আলীর পুত্র।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, সদর উপজেলার মৌজা-টেবিরচর মধ্যে বিআরএস খং নং-৩৪৬, ৩৪৫, ৯৯, ৯৭,৯৫,৯৩,৮৩, জমির পরিমান একুনে ৯.১১৫০ একর ভূমি পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে তারা ভোগদখল করে আসছেন। তার দুই চাচা ও তার বাবা তপছিল বর্ণিত ভূমি চাষাবাদক্রমে ভোগদখল করাবস্থায় তার বাপ-চাচাদের নামে বিআরএস রেকর্ড শুদ্ধ ভাবে লিপিবদ্ধ হয়। সেই হিসাবে তারা এজামালিতে তপছিল বর্ণিত ভূমি ভোগদখল করে আসছেন। টেবির চর এলাকার সাইদুর রহমান সাঈদ, সজল মিয়া, বিপুল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, মোঃ হাবুল, হারেজ, মুকুলসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন হাসেম আলীদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ও ক্রয়কৃত জমি জবরদখল করতে নানাভাবে পায়তারা করে। এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানায় গত ৩ এপ্রিল সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ভূমিদস্যুদের হুমকির ঘটনায় এলাকায় বেশ কয়েবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। সালিশের কোন সিদ্ধান্তও তারা মানেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হাসেম আলীর পরিবারের উপর কয়েকদফা হামলা করেছে। সম্প্রতি উল্লেখিতরা হাসেম আলীর পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছে। দাবিকৃত চাঁদা না পেলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবে এবং তাদের সব জমি জবরদখল করবে। তপছিলভুক্ত জমিতে বিবাদীগণের অনুপ্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন জামালপুরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালত। সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা নং-২৬৫/২০২৩। আদালতৈর এই আদেশও মানকে নারাজ অভিযুক্তরা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তদের মাঝে বিপুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মাদকসহ গ্রেপ্তারের মামলাও আছে। ২০১৭ সালের ৮ মে এই মামলা দায়ের করে পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিপুল হোসেন। তিনি বলেন, হাসেম আলীদের কাছে তারা জমি পাবেন। না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দিয়েছে।
হাসেম আলীর ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এমন প্রত্যাশা টেবির চরবাসীর।