জাতির সংবাদ ডটকম।।
মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের কর্তৃক আয়োজিত “নাগরিক সেবা প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা “শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় ভোক্তা সংগঠন নাগরিক সমাজ এবং রাজনীতিবিদদের যুগ পত আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নাগরিকরা যদি সচেতন না হয় তাহলে আমাদের একার পক্ষে সম্ভব না বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। মনে রাখতে হবে আমরা সরকারি চাকরি করি উদাহরণ যে পেতে নিয়ে বলেন মানুষ ১৮০ টাকা বিল দেয় দুই চলার জন্য কিন্তু সে গ্যাস পায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার। আবার নিজে ডিবে ল দিয়ে পানি তুলছে সম্পূর্ণ নিজের খরচ করছে অথচ বিল নিচ্ছে ওয়াসা। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারি চাকরি করে তাদের বিরুদ্ধে সবকিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব না। বাজার নিয়ন্ত্রণের করতে তিনি নিরলস ভাবে দিনের বেশিরভাগ সময় এমনকি ঈদের দিন, সরকারি ছুটির দিনেও আমরা কাজ করছি। রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সাবেক সদস্য প্রকৌশলী মোঃ মকবুল ইলাহী চৌধুরী, ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব বদরুল আলম। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করল সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পদক্ষেপি জনগণের কাজে আসলো না। আমরা জনগণের পকেট থেকে যে অতিরিক্ত টাকা হাতে নেওয়া হল তা ফেরত চাই।
সভাপতিত্বো করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। সভাপতির সূচনা বক্তব্যে বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা সরকার ঠিক করেছে। কিন্তু নাগরিকদের যে প্রত্যাশা সেবা নিয়ে সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা নাগরিকরা পাচ্ছে না। আমাদের দেশে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালন করা হয় এনজিওদের চাপিয়ে দেয়া নীতি অনুযায়ী। আমাদের দেশে ভোক্তা বা নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এখন পর্যন্ত কোন মন্ত্রণালয় গড়ে তোলা হয়নি। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার আইন প্রণয়ন করে এপ্রিল এর ৭ তারিখ যা মহান সংসদে পাস হয়। নাগরিক স্বার্থ রক্ষা করার নামে যে সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হওয়ায় নাগরিকরা প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি ভোক্তা অধিদপ্তর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ট্যারিফ কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। আবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ী দের স্বার্থ সুরক্ষা করে থাকে তাই একসাথে ব্যবসার সার্থরক্ষা অন্যদিকে নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ। আমাদের তাই দাবি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের সেবা রক্ষার্থে বা ভোক্তা স্বার্থ রক্ষার জন্যপৃথক মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আমরা চাই বাংলাদেশ খুব দ্রুত নাগরিক সেবা বা স্বার্থ রক্ষা করার জন্য স্মার্ট সেবা সুরক্ষা মন্ত্রণালয় বা ভুক্তা সার্থ মন্ত্রণালয় নামে পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হোক। সেই সাথে ৭এপ্রিল জাতীয় ভোক্তা দিবস পালন করা হোক। অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ুজ্জামান রতন বলেন, নাগরিক সেবা যেমন অধিকার তেমনি নাগরিকদেরকে সেবা দেয়া রাষ্ট্রের দায়ীত্ব । রমজানকে কেন্দ্র করে খাদ্য পণ্য, কাপড়, জুতা, পরিবহন সমস্ত ক্ষেত্রে মুনাফা করার প্রতিযোগিতা তৈরী হয়। এক্ষেত্রে সরকারের দায়ীত্ব যেমন সরকার পালন করছে না, ভোক্তারাও যদি প্রতিবাদ না করে তাহলে ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের হাতে জনগন জিম্মি হয়ে পড়বেন। দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি, ভেজাল এর বিরুদ্ধে গণসচেতনতা এবং আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ নাগর সমাজের সদস্য সচিব একেএম খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট শাহেদা বেগম, মিতা রহমান, লায়ন সাব্বির, নাগরিক অধিকার পরিষদের রাশেদ যুগ্ন সদস্য সচিব রাশেদ, গণসংহতির বাচ্চু, ম্যাপের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান ডক্টর মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।