নিজস্ব প্রতিনিধি।।
দিবসের সূচনালগ্ন রাত ১২.০১ মিনিটে ময়মনসিংহের টাউন হল প্রাঙ্গণস্থ শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।
পরে একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা প্রমুখ।
পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নেতৃবৃন্দসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকগণ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বিকাল ৪.০০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস। সভাপতি হিসেবে বক্তব্য প্রদান কালে তিনি বলেন, ভাষা একজন মানুষের সবচেয়ে প্রিয় বিষয়গুলোর একটি। ভাষা আন্দোলনের পটভূমির উপর ভিত্তি করে রচিত হয় ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তিমূল। বাংলাদেশ ছাড়া ভাষার জন্য আত্মত্যাগের ইতিহাস আর কোথাও নেই। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের পর এখন আমরা মুক্তি সংগ্রামের মধ্যে আছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। তবেই শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, বাঙালি জাতির হারিয়ে যাওয়া গৌরব পুনরুদ্ধারের সূচনা হয় একুশের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এদিন বাঙালি প্রথম ঘুরে দাঁড়ায়। ভাষা আন্দোলনের চেতনা ধারণ করেই আমরা মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়েছিলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মযমনসিংহ জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
ভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে এদিন জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বিভিন্ন সামাজিক/সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক খোলা ট্রাকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক দ্বীপসমূহে দেশাত্ববোধক সংগীত পরিবেশন করা হয়। জেলার সকল মসজিদ, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হয়।