দিলীপ কুমার দাস ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে আরো একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী গাজিরভিটা ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো.ইদ্রিস মিয়া (৫০)। সে ঐ এলাকার মৃত তৈইমুর রহমানের পুত্র। তিনি পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খাবারের সন্ধানে প্রায় ৪০-৫০টি বন্যহাতির দল ধান খেতে হানা দেয়। বোরো মৌসুমের ফসল রক্ষায় গ্রামের মানুষ লাঠি, মশাল, পটকা নিয়ে হাতির দলটিকে তাড়াতে ধাওয়া করেন।
এ সময় দলবদ্ধ হাতির পাল থেকে একটি তেড়ে আসা হাতি পল্লী চিকিৎসক ইদ্রিস মিয়াকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পদপিষ্ট করে ফেলে রেখে চলে যায়। হাতির পাল ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ইদ্রিস মিয়াকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নিহত ওই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের ২২ মার্চ ঈদুল ফিতর’র দিন বিকেলে ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষক ফরজুল এর মৃত্যু ঘটে। এর আগে ১৯ এপ্রিল পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের উত্তর রাণীপুর গ্রামে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে সুমন মিয়া নামে এক কিশোর নিহত হয়। গেল বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর হালুয়াঘাট উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের কৃষক নওশের আলী হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নিহত হন। এর ৫ দিন পর ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ফসলি জমি রক্ষার জন্য হাতি তাড়াতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করে সে ফাঁদে পড়ে মৃত্যু হয় সীমান্তবর্তী কড়ইতলী এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর আলমের। এত মৃত্যুর পরেও হাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকরী কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে দাবি সচেতন মহল ও স্থানীয়দের।