মাদারগঞ্জে বিএনপি নেতাকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্রমূলক চক্রান্তের প্রতিবাদ

সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫

আবুল কাশেম জামালপুর প্রতিনিধিঃ-

মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী মুক্তাকে জড়িয়ে যড়যন্ত্রমূলক চক্রান্তের প্রতিবাদে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠত হয়েছে।

রোববার বিকেলে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দেন মাহমুদুল হাসান চৌধুরী মুক্তার সহোদর বড়ভাই মো.আলমগীর চৌধুরী।

 

মো.আলমগীর চৌধুরী বলেন, ১১ জানুয়ারি সকালে মাদারগঞ্জ পৌরসভার জোনাইল রাইসিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজনে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই সমাবেশে অংশ নেয়া কর্মী-সমর্থকদের জন্য উপজেলার দক্ষিণ কয়ড়া গ্রামে খিচুরী খাওয়ার আয়োজন করেন আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের অর্থ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদিকা লায়লা খাতুন ইতি। তবে খিচুরী রান্নার জন্য গরু মাংস সংগ্রহের জন্য এলাকার কসাই বজলু মিয়াকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে কসাই বজলু মিয়া একটি চোরাই গরু জবাই করে তার অনুষ্ঠানে বিতর্কের সৃষ্টি করে। এ ঘটনা নিয়ে সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর প্রতিপক্ষরা হট্টগোলের সৃস্টি করে তার রাজনীতিক ভাবমুর্তি নষ্ট করছে। এতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গরু চোরের একটি সাজানো মামলা দায়ের করে তাদের রাজনীতিসহ সামাজিক ভাবমুর্তি নষ্ট করছে। তিনি এই সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রান চান।

 

প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, এলাকাবাসী মাসুদুর রহমান চৌধুরী, আব্দুল হাকিম, বারেক মুন্সি, গেদা মন্ডল, শাকিল আহমেদ, খোশ মাহমুদ প্রামানিক ও জাহাঙ্গীর চৌধুরী প্রমুখ।

 

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আইনজীবী মনজুর কাদের বাবুল খান বলেন, মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীর বিষয়টি আমরা শুনেছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

মাদারগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াজিউর রহমান জানান, ১১ জানুয়ারি সকালে দক্ষিণ কয়রা গ্রামের মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে উত্তেজিত সহস্রাধিক লোকের মধ্যে থেকে সুমন ও বজলু কসাইকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে কৃষক এফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১২ জনের নামে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও সাত থেকে আটজনকে আসামি করে মাদারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী, মিঠু, জামিউল, আব্দুল হাকিম, রতন সরদার, সুজন, বিজ্ঞ চৌধুরী, সাজা, বাদল ও ফতু মিয়া।