জাতির সংবাদ ডটকম।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি সফল করতে রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। তাদের উদ্দেশ্য রাজধানীর শাহবাগে জমায়েত হওয়া।
এক দফা আন্দোলনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই রবিবার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এই কর্মসূচি প্রথমে মঙ্গলবারের জন্য ঘোষণা হলেও পরে জরুরি সিদ্ধান্তে একদিন এগিয়ে সোমবার করেন আন্দোলনকারীরা।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা অভিমুখী একটি পয়েন্টে ১৩টি ট্রাকে করে দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঢাকার সবগুলো প্রবেশ মুখেই ছিল ঢাকা অভিমুখী ছাত্র-জনতার দৃশ্যমান উপস্থিতি।
অন্যদিকে ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও বসবাসকারী ছাত্র-জনতা আগতদের অভ্যর্থনা জানাতে নানাভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করে। আগতদের নিরাপত্তা সুরক্ষাসহ অনেকেই খাবার, পানীয়সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান নিয়ে সহযোগিতায় পাশে দাঁড়ায়।
মধ্যরাত থেকেই ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টগুলো ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, অটো, সিএনজি ও পায়ে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে।
রাতের ঢাকায় যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, রামপুরা, উত্তরা, গাবতলী, আব্দুল্লাহপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলকারীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কোথাও কোথাও শত শত আন্দোলনকারী একসঙ্গে জড়ো হয়ে নানান স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে রাজপথ।
এদিকে সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ভোর সোয়া ৫টার দিকে জানান, ‘শেখ হাসিনার পতন ও স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিলোপ’ না হওয়া পর্যন্ত এই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থান চলবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ পথ দেখিয়ে গেছেন। আমরা সোমবার সকালে তার দেখানো পথে সারাবাংলা থেকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসবো।’
আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ‘শত সহস্র শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না। স্বৈরাচারের তনে মনোযোগ দিন। রূপরেখার খসড়া চূড়ান্ত রূপে জনতার সামনে উপস্থাপিত হবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সফলতার পর।