শাহজালাল, রাসেল।।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানানো হয়। এ সময় বায়রা’র যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আলমসহ কয়েকজন কার্যনির্বাহী সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, যারা শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, সেই সিন্ডিকেটকেই টাকা ফেরত দিতে হবে। এ সময় তিনি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের খাতকে গতিশীল করতে হলে বায়রাকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে হবে। একইসঙ্গে এ খাতে যারা দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, বায়রা সিন্ডিকেটের মূলহোতা রুহুল আমিন স্বপন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নিজাম হাজারী, বেনজির আহমেদসহ আরও কয়েকজন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে টাকাপাচার ও ব্যাপক অনিয়মের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তাদের সিন্ডিকেটেরে কারণে বাংলাদেশের শ্রমবাজার আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রয়েছে তাদের সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির কারণে।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের খাত হলো বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাত। এ খাত থেকে প্রতিবছর ২২ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। বিগত স্বৈরশাসকের প্রেতাত্মাদের সিন্ডিকেটের কারণে এ খাত চরমভাবে কলঙ্কিত। তাদের কারণেই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বারবার বন্ধ হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় ৫০ হাজার চাহিদার বিপরীতে কর্মী যেতে পারেনি। যার মধ্যে ১৭ হাজার ছিল চূড়ান্তভাবে বিএমইটি সম্পন্ন করা। এই বছরের ৩১ মে অতিরিক্ত শ্রম অভিবাসন ব্যয়ের কারণে আবারও এই বাজার বন্ধ হয়।
তিনি আরও বলেন, সব রিক্রুটিং এজেন্সি যেন যেকোনও দেশে কর্মী পাঠাতে পারে, সেই সুযোগ এখন নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের বায়রার শতকরা ৯০ শতাংশ সদস্যের দাবি – যারা সিন্ডিকেট করেছে তাদের বিচার করতে হবে। যারা টাকাপাচার করেছে সেগুলো ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আগামীতে বায়রার সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সিন্ডিকেটের কেউ যেন আবারও বায়রাতে আসতে না পারে। সুন্দর এবং কলঙ্কমুক্ত বায়রা আমরা করতে চাই।