
আবুল কাশেম জামালপুরঃ-
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি অনুসন্ধানকালে জানা যায়, সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই খাইরুল ইসলাম গত ১৩-০৪-২০২৫ তারিখ দেওয়ানগঞ্জ থানাধীন ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর বাজারে ভুক্তভোগী মোঃ সদরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, পিতা-মোঃ নুরুল ইসলাম এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হইতে ২টি ব্যাটারী চালিত অটো জোরপূর্বক দোকান হইতে বাহির করিয়া অটোর কাগজপত্র চাহিলে ভুক্তভোগী মোঃ সদরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, এবং মোঃ সবুর আলী, পুলিশকে অটো ক্রয়ের ম্যামো ও এফিডেফিট এর কাগজ দেন।
তখন এসআই খাইরুল ইসলাম ভুক্তভোগীদের নিকট হইতে অটো ক্রয়ের ম্যামো ও এফিডেফিট এর কাগজ সহ তাহাদের মোবাইল কাড়িয়া নিয়া কাগজপত্র যাচাই না করিয়া দুই অটোসহ ভুক্তভোগী মোঃ সদরুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম, এবং মোঃ সবুর আলীকে প্রথমে সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়া যায় পরে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা দিয়ে চালান দেয়।
ভুক্তভোগী মোঃ সদরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, এবং মোঃ সবুর আলীদ্বয়ের পরিবার এসআই/খাইরুল এর কাছে অটো ক্রয়ের ম্যামো ও এফিডেফিট এর কাগজ ফেরৎ চাহিলে এসআই/খাইরুল জানান ওগুলো ওসি সাহেবের নিকট জমা আছে । ভুক্তভোগী দ্বয়ের পরিবার তখন থানায় যেয়ে ওসি সাহেবের কাছে অটো ক্রয়ের ম্যামো ও এফিডেফিট এর কাগজ চাহিলে তিনি জানান ওসব এসআই/খাইরুলের কাছে আছে। পুলিশের এহেন কার্যকলাপ স্থানীয় জনমতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এ সংক্রান্তে এসআই/খাইরুলের স্বীকারোক্তিমূলক অডিও রেকর্ড আমাদের হাতে পৌছেছে। অডিও রেকর্ড এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত । ভুক্তভোগী সদরুল ইসলাম, শফিকুল বাঘারচর বাজারের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। কার প্ররোচনায় এসআই/খাইরুল ইসলাম কোন তদন্ত ছাড়াই মিথ্যা মামলা দিয়ে ভুক্তভোগীদ্বয়কে জেল হাজতে পাঠিয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক এসআই/খাইরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগী পরিবার সরকারের উচ্চমহলের কাছে দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মানবন্ধন করেছে। ভুক্তভোগী পরিবার মোঃ সদরুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম, এবং মোঃ সবুর আলীদ্বয়ের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করেছে। জুলাই বিপ্লব ও ৫ আগষ্ট পরবর্তী পুলিশের এমন আচরন জনমনে পূনরায় ভীতির সৃষ্টি করেছে।
ভুক্তভোগী সদরুল ইসলাম ও শফিকুল একজন বড় ব্যবসায়ী ও সম্মানিত পরিবারের সন্তান। তাহাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানোর অভিযোগে এলাকাবাসীর মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ভুক্তভোগী সবুর মিয়া, রংপুরের মোঃ আতিয়ার রহমান এর নিকট হইতে অটো দুটি ক্রয় করিয়াছিল আমি তাহার সাথে কথা বলেছি। পুলিশ ভুক্তভোগী মানুষের আশার আলো হবার কথা সেই পুলিশ যদি দ্বারা যদি মিথ্যা মামলার হয়রানীর স্বীকার হয়, ভুক্তভোগী অসহায় মানুষগুলো যাবে কোথায় এমনটাই বলছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারদ্বয় সরকারের উচ্চমহলের এবং পুলিশের উর্দ্ধধন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।