মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
মিরসরাইয়ে অবৈধ ভাবে জায়গা দখল চেষ্টা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ৮নং দূর্র্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন রুবেল। শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে উপজেলার ঠাকুরদিঘীতে মরহুম মজিবুল হক চেয়ারম্যান বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে নাজিম উদ্দিন রুবেল বলেন, আমার বড় ভাই মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন মিঠানালা মৌজায় মিঠাছরা বাজারে বিএস ২৯১২ ও ২৯৬০নং খতিয়ানে বিএস ২১২৫ দাগে ৭ শতক এবং দখল শর্তে ১ শতকসহ মোট ৮ শতক জায়গা ক্রয় করেন। উক্ত জমিতে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করলে গত ৪ জুন আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী নুরুল মোস্তফা পলাশ নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। সন্ত্রাসী পলাশ তার বাহিনী নিয়ে আমাদের ক্রয়কৃত জায়গার মূল ফটকের তালা ভেঙ্গে ভূমির একটি অংশে বেইজ ঢালাই করে দখলের চেষ্টা চালায় ও ভবণ নির্মাণের জন্য রাখা রড সহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় খবর পেয়ে আমি মিরসরাই থানার ওসিকে বিষয়টি জানালে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পলাশ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় আমি গত ৬ জুন মিরসরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পরবর্তীতে দখলদার সন্ত্রাসী পলাশ চট্টগ্রামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর মাধ্যমে আমাকে ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে অসত্য ও আজগুবি বক্তব্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায়। কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়া একজন জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে এমন অপপ্রচার বিরোধী দলের এজেন্ড ব্যতিত আর কি হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জায়গার সামনে সন্ত্রাসী পলাশ সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় অবৈধ ভাবে একটি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। উপজেলা ভূমি অফিসের সরকারি সার্ভেয়ার এর মাধ্যমে উক্ত জায়গাটি পরিমাপ করলে পলাশ কোন দলিলপত্র দেখাতে পারেননি। পলাশের বিরুদ্ধে আমি ৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পলাশকে একাধিকবার লিখিত নোটিশ প্রদান করলেও সে পরিষদে হাজির হয়নি। অবৈধ ভাবে জায়গা দখলের চেষ্টা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা ন্যায় বিচার কামনা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ হোসেন আরজু, সহ-সভাপতি আলা উদ্দিন মেম্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রওশন জামান সিদ্দিকী মাহি, ছাত্রলীগ নেতা আনিছুর রহমান প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নুরুল মোস্তফা পলাশ বলেন, আমি তাদের জায়গায় দখল করিনি। উল্টো তারা তাদের ক্রয়কৃত জায়গা বুঝে না পেয়ে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে দখল করার চেষ্টা করায় আমি বাধা দিলে আমাকে মেরে রক্তাক্ত যখম করে।