মিরসরাই প্রতিনিধিঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মিরসরাই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল হক খোন্দকারের সন্তান এমদাদ খোন্দকার। আমেরিকা প্রবাসি এমদাদ খোন্দকার তার প্রত্যাশার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
গত শনিবার মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম অলিনগর নিজ বাড়িতে ঈদের দুইদিন পর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে তার ইচ্ছার কথা জানান দেন।
অপরদিকে তার বোন আইরিন পারভীন খোন্দকার আগেই ঘোষণা দিয়েছেন তার মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা। বর্তমানে আইরিন পারভীন খোন্দকার আমেরিকায় অবস্থান করছেন। এমদাদ খন্দকার অবস্থান করছেন বাড়িতে।
খন্দকার পরিবারের বড় সন্তান মহসিন খোন্দকার জানান, তাদের বাবা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে দুই বার এমপি নির্বাচিত হন। তারা বিএনপির জন্য কাজ করবেন। তাদের রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা নেই। তবে দল যদি বর্তমানে কোন্দল গ্রুপিংয়ের কারনে বিকল্প প্রার্থী খুঁজে সে ক্ষেত্রে ওবায়দুল হক খন্দকারের উপযুক্ত সন্তানরা রয়েছে। দল উপযুক্ত মনে করলে পরিবারের সিদ্ধান্তে এমদাদ খন্দকার নির্বাচন করবেন এটাই পারিবারিক সিদ্ধান্ত।
এদিকে আইরিন পারভীন খন্দকার নির্বাচন করার কথা ঘোষণা দিয়েছেন এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে, মহসিন খন্দকার জানান, আমরা এ রকম কিছুই জানিনা। সেটা তার ব্যাক্তিগত মত। তবে এমদাদ খন্দকারকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবেন এটাই পারিবারিক সিদ্ধান্ত।
মহসিন খন্দকার আরো জানান, আমার বাবা রাজনীতি, ঠিকাদারী এ সবের পাশাপাশি সামাজিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। আমি বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে এলাকায় বেকার শিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলবো।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এমদাদ খন্দকার বলেন, আমরা পৈতৃক সুত্রে বিএনপির রাজনীতির জন্য নিবেদিত। রক্ত মাংসে জিয়াউর রহমানের আদর্শ লালন করি। আমি আমেরিকা প্রবাসি। বিএনপির রাজনীতির মাঠে কোন পদ পদবি নেই। সামনে নির্বাচন দেশের জন্য, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি দলের হয়ে কাজ করবো। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করবো। তবে প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য বর্তমানে মিরসরাইয়ের বিএনপির রাজনীতিতে যে কোন্দল দেখছি তাতে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। নিজেদের মধ্যে এতো বিভাজন তৈরি করে কিভাবে সরকারি দলের প্রার্থীকে মোকাবেলা করবে। এসব নিরসন করতে হবে।
তার নির্বাচন বা রাজনীতি করার ইচ্ছা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাবার রক্ত তো আমাদের শরীরে। দল যে দায়িত্ব দিবে সবাইকে নিয়ে তা পালন করবো। মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে বিজয় লাভ করে আসনটি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কে উপহার দিবো। আমাদের পারিবারিক এবং অর্থনৈতিকভাবে সে সক্ষমতা রয়েছে।
এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম,করেরহাট ইউনিয়নের বিএনপি নেতা শহীদ,ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক করিম, সদস্য সচিব মিজান, সদস্য বেলায়েত হোসেন সিরাজ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, বিএনপি নেতা মাওলানা জমির উদ্দিন, ফারুক খোন্দকারসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল হক খোন্দকার ১৯৭৯ সালে এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।