মিরসরাইয়ে মধ্যরাতের আগুনে পুড়ল ২৫ দোকান, দেড় কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি

বৃহস্পতিবার, মে ৪, ২০২৩

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।। মিরসরাইয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে পুড় ছাই হয়ে গেছে ২৫টিরও বেশি দোকান। বুধবার (৩ মে) রাত ১২টার সময় উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের জোরারগঞ্জ বাজারের প্রজেক্ট রোড়ের ইদ্রিস বলি মার্কেটে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি ইউনিট, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এসে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা হলেন, বিমল বৌদ্ধর বিমল টিম্বার এন্ড ফার্নিচার, জামশেদ আলমের মা ফার্নিচার শোরুম, মঞ্জুর সাউন্ড সিস্টেম, সরওয়ারের নকশার দোকান, বাবলুর ফার্নিচারের দোকান, বিকাশ চক্রবর্তীর বানুভুষণ ফার্মেসি, নুর আলমের কুলিং কর্ণার, গফুর সওদাগরের কুলিং কর্ণার, চন্দ্র বেদনাথের বৈশাখী টেইলার্স, মনির আহম্মদের সাব্বির গøাস এন্ড এসএস, আবুল কাশেমের কাঠের দোকান, নুর হোসেনের কাঠের দোকান, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল দেওয়ানজীর ব্যক্তিগত অফিস, বাবুর নকশা ঘর, কালুর সবিতা মের্টাল, দেবু দেবনাথের ডিমের আড়ত, নাজিমের মোটরসাইকেল গ্যারেজসহ প্রায় ২৫ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা দাবি করছেন আগুনে তাদের প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ মা ফার্নিচারের সত্ত¡াধীকারি জামশেদ আলম জানান, সবিতা মের্টালের ওয়েল্ডিংয়ের মেশিন থেকে শর্ট সার্কিটের আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে চড়িয়ে পড়ে একে ২৫ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী মো. মঞ্জু জানান, এনজিও থেকে ৮ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়ে সাউন্ড সিস্টেমের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়েছিলাম। আগুন এখন আমার সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। কি করে ঋণের টাকা দিবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ রেজাউল করিম মাষ্টার বলেন, খবর পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সময়মতো যদি ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস না আসতো তাহলে পুরো জোরারগঞ্জ বাজার পুড়ে ছাই হয়ে যেতো।

 

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, আমাদের ৩ টি ইউনিট গিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তাধীন।