মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি::
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির ১২ জন নেতা চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক ৫জনকে জামিন দিলেও ৭জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। রবিবার (৭ মে) জেলা জজ আদালতে আসামীরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকায় পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনার এই মামলা হয়েছে। এতে ৪টি মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দেন কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
জামিন পাওয়া নেতারা হলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল হোসেন মিয়া সওদাগর, সদস্য মনজুর কাদের ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহ মো. ফোরকান উদ্দিন চৌধুরী। কারাগারে পাঠানো নেতারা হলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. সরওয়ার উদ্দিন সেলিম, বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজি, হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক নাজমুল হক সোহাগ, করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জহির উদ্দিন বাবলু, সদস্য নাজমুল আমিন পারভেজ, মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক কামরুল ইসলাম, মিরসরাই পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ব ফরহাদ হোসেন তুহিন।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপির সদস্য শাহীনুল ইসলাম স্বপন জানান, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রামে বিএনপির সুশৃঙ্খল বিভাগীয় সমাবেশ চলাকালীন পুলিশ বাহিনী বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর চড়াও হয়, মারমুখি আচরণ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের গাড়িতে কোন নেতাকর্মী কোন প্রকার হামলা করেনি। এসব আজগুবি মামলা আর অপরাজনীতির অংশ। আমরা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেতকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ মিনহাজ উদ্দিন জানান, বিএনপির নেতৃবৃন্দ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ৫জনের জামিন মঞ্জুর করে। বাকি ৭জনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।