জাতির সংবাদ ডটকম।।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরইমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ রাজনৈতিক নেতাদের সামনে খালেদা জিয়াকে শিগগির মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী থাকেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
পরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে সরকার। একইসঙ্গে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে দুটি শর্তে মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার।
তার স্থায়ী মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে দল ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন জানানো হলেও সরকার এতে সাড়া দেয়নি।
সব শেষে গত ২১ মার্চ নির্বাহী আদেশে আটবারের মতো তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় আওয়ামী লীগ সরকার।