
মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস ও মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন ও তরমুজ উৎসব উদযাপন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইবি শাখা।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ১টায় ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মণ্ডলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আলীমুজ্জামান (টুটুল), ইবি শাখার প্রধান সমন্বয়ক এস এম সুইট, অন্যান্য সহ-সমন্বয়ক এবং শতাধিক শ্রমিক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে এক শতাধিক শ্রমিক শহীদ হয়েছে। শ্রমিকরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এই দেশের জন্য। আন্দোলনকারীরা যখন রাস্তায় গুলির মুখে পড়েছিল এবং শহীদ হয়েছিল, তখন অনেক শ্রমিক তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এই দেশ সবার। শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে ঐক্যের সম্পর্ক থাকা উচিত। শ্রমিক আট ঘণ্টার বেশি কেন কাজ করবে? এই বৈষম্যের নিরসন চাই।
যারা বৈষম্য সৃষ্টি করতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে হবে।
জুলাই বিপ্লব এককভাবে সম্পন্ন হয়নি। পতিত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সকলের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণ ছিল।”
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “এখানে কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই বিধায় সাধারণভাবেই এখানে চলে এসেছি। শ্রমিকদের জন্য ক্যাম্পাস এত সুন্দর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েছে, পাশাপাশি শ্রমিকদের রক্তে পৃথিবী গঠিত। এই শ্রমিকের ঘামের মধ্যে মিশে আছে আমাদের উন্নয়ন, বাংলাদেশের সাফল্য।
বাংলাদেশে ১৪৩টি শ্রম খাত আছে, কিন্তু ৪২টিতে ন্যূনতম মজুরি লেখা আছে; বাকিগুলোতে নেই। ফলে মজুরি বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শ্রমিকদের জন্য বাংলাদেশে আইনে বিশেষ কোনো অধিকার নেই। যাদের কারণে আমরা লাভবান হই, অথচ তাদেরই কম মজুরি দিতে চেষ্টা করি।
যে শ্রমিকই হোক না কেন, অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে যেন কোনো বৈষম্য না হয়।
শ্রমিককে কোনো শ্রেণিতে বিভক্ত না করে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে হবে।”
উল্লেখ্য, এসময় বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে তরমুজ বিতরণ করা হয়।