জাতির সংবাদ ডটকম।।
বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার ওসি মো: শামসুদ্দিন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করে আসামী গ্রেফতারের নামে বাড়ী থেকে বাড়ীর মালিককে বে-দখল করার অভিযোগ এবং ওসি’র অপসারণসহ তার শাস্তির দাবী করে বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল গফুরের স্ত্রী শামীমা ইয়াসমিন। নিম্নে লিখিত বক্তব্যটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
আমি মো: আ: গফুর, পিতা- মৃত আব্দুস সাত্তার, শামসুর রহমার রোড, উপজেলা-মোংলা, বাগেরহাট । আমি আপনাদের সদয় সমীপে পেশ করছি যে, গত ০৬/৫/২০১৩ ইং দুপুরে মোংলার সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমি দস্যু, নারী নির্যাতনকারী টাইগার জলিল এর নেতৃত্বে বিতর্কিত চরিত্রের শাহনাজ বেগম ওরফে শাহানা পারভিন ও তার লোকজন আমার বসতঘরে ঢুকে আমার স্ত্রী শামিমা ইয়াসমিনকে মারপিট করে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে আমার গৃহের কাজের বাতাসি বেগম ও ভাগ্নে ৪ বছরের আরিফকে মারপিট করে আহত করে। আমি মোংলা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি তালবাহানা করে ৬ মে’২৩ এর পরিবর্তে পরেরদিন ৭ মে’২৩ মামলা রুজু করে যা মোংলা থানা মামলা নং – ৮, তারিখ: ৭/৫/২০২৩ ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩৪২/323/326/307/354/৩৭৯/১১৪ দ: বি:। আজও মোংলা থানা পুলিশ আসামী গ্রেফতারের কোন চেষ্টা করেননি ।
আমি আমার স্ত্রী শামিমা ইয়াসমিনকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে থাকি । আমার স্ত্রী বিপদমুক্ত হলে এবং তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে আমরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে মোংলায় বাড়ীতে আসি । এর ৬ দিন পর উক্ত ওসি শামসুদ্দিন যারা আমাদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে তাদের পক্ষে একটি মিথ্যা মামলা নিয়ে ওসি’র নির্দেশে একদল পুলিশ আমার বাড়ীর গেটে এসে গেট ধাক্কা দিয়ে খুলে আমার স্ত্রীকে ঘর থেকে টেনে বের করে দিয়ে আমার তৈরী করা বাড়ী চরিত্রহীন মহিলা শাহানা পারভীনকে দখল করিয়ে দেয়। এর বিরুদ্ধে আমি ইতোপূর্বে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় আইজিপি, মাননীয় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সুপার বাগেরহাট বরাবর অভিযোগ দায়ের করি । অভিযোগ দায়ের করার কারণে টাইগার জলিল ও ওসি, শামসুদ্দিন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তারা আমাকে শায়েরা করার ভয় দেখাতে থাকে । আমার ইতোপুর্বে দাখিলকৃত অভিযোগ এএসপি, মোংলা সার্কেল তদন্ত করছেন । তিনি যেদিন তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যান সেদিনই উক্ত মহিলা আমার বাড়ীতে তার নিজ নামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন। আমি সার্কেল অফিসে যেয়ে তাকে বিষয়টি জানালে তিনি এলোমেলো কথাবার্তা বলেন । কোন বিচার আমি পাচ্ছি না ।
টাইগার, মাদক ব্যবসায়ী, নারী লোভী ও ডাকাত জলিল মোংলা এলাকায় কুখ্যাত । জলিল ও থানার ওসি, শামসুদ্দিন আমাকে শিক্ষা নেয়ার জন্য বাগেরহাট এর এক মহিলা নাম তহমিনা বেগমকে দিয়ে ৩০০/ টাকার ষ্ট্যাম্পে জাল চুক্তিনামা তৈরী করে । তাতে তারা লেখে, “আমি উক্ত মহিলার ছেলেকে যাহাজে চাকুরী দেয়ার অজুহাতে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছি । পরবর্তীতে আমি তার ছেলেকে চাকরী না দিয়ে তাকে ঘুরাতে থাকি এবং টাকা ফেরৎ দেয়নি।” এসব কথা বলে উক্ত মহিলাকে দিয়ে ওসি ও টাইগার জলিল বাগেরহাট আদালতে ৪২০/৪০৬ দঃ বিঃ ধারায় মামলা দায়ের করায়। উক্ত মামলায় ওয়ারেন্ট নিয়ে মোংলা থানা পুলিশ ওসি শামসুদ্দিন এর হুকুমে আমাকে বাড়ী থেকে ধরে আমার হাতে হ্যান্ড কাফ ও মাজায় দড়ি বেধে পুরা মোংলা বাজার পায়ে হেটে ঘুরায়ে থানায় নিয়ে যায়। আমি পেশায় একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। পুলিশ আমাকে হাটিয়ে নিয়ে চলেছে এবং এনটিভি’র একজন সাংবাদিক আসামী সুমন ভিডিও ক্যামেরাসহ আমার ছবি তুলছেন যা ওসি নিজে তার ফেসবুক আইডি’র মাধ্যমে পোষ্ট করেছে । এটা কি হওয়া উচিত । উক্ত তহমিনা বেগমকে আমি কোন দিন দেখিনি, তার সাথে আমার কোন দিন কথা হয়নি, আমি তাকে চিনি না, সে কখনও আমার বাড়ীতে আসেনি। আর যে ষ্ট্যাম্প দিয়ে কেস করেছে সেই ষ্ট্যাম্পে আমার যে স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে, তাতে আমার নাম লেখা হয়েছে ” আ: গরুর আঃ গফুর ও আ: গরুর । অথচ আমার নাম আঃ গফুর । আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে । এ সকল ঘটনা টাইগার জলিল ও ওসি শামসুদ্দিন ঘটিয়েছেন ।
“কেন আমাকে মাজায় দড়ি বেধে মোংলার রাস্তায় পায়ে হেটে ঘুরিয়ে থানায় নিলেন।” আমি পুলিশ বিভাগের উর্দ্ধতন মহল ‘ও মাননীয় স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এর বিচার প্রার্থনা করছি।
আপনারা সাংবাদিকবৃন্দ, আপনারা জাতির বিবেক, আপনাদের মাধ্যমে আমি “ আমার উপর ও আমার পরিবারের উপর ওসি, মোংলা থানা মো: শামসুদ্দিন ও সন্ত্রাসী টাইগার জলিল ও তার বাহিনী যে ধরণের নির্মম অত্যাচার করেছে – তা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানোর প্রার্থনা জানাচ্ছি ।