মোজাহেদুল ইসলামের ‘এআই শিখুন, টাকা গুনুন’ বইয়ের প্রি-অর্ডার শুরু

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

জাতির সংবাদ ডটকম।। 

তথ্যপ্রযুক্তি লেখক ও সাংবাদিক মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ-এর নতুন বই ‘এআই শিখুন, টাকা গুনুন’ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। বইটির অনলাইন প্রি-অর্ডার ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। পাঠকদের জন্য এই বই প্রকাশ করছে সিসটেক পাবলিকেশন্স।

ডিজিটাল যুগে আমরা দাঁড়িয়ে আছি এমন এক মোড়ে, যেখানে কীবোর্ডের টোকায় ডলার বেজে ওঠে, আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হয়ে উঠছে মানুষের নতুন সহকর্মী। এই বই সেই সেতুবন্ধন—শেখা থেকে আয়, সাংবাদিকতার অনুসন্ধান থেকে শুরু করে সাধারণ পাঠকের জন্য সচেতনতার বার্তা।

বইটি তিন ভাগে বিভক্ত। প্রথম অংশে রয়েছে তরুণদের জন্য আয়ের গাইড। এখানে বলা হয়েছে কীভাবে এআই কনটেন্ট প্রম্পট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্স মার্কেটে সুযোগ তৈরি করা যায় এবং ছোট ছোট আইডিয়া থেকে বড়সড় ইনকাম সম্ভব হয়। দ্বিতীয় অংশ সাংবাদিকদের জন্য একেবারে ইনভেস্টিগেটিভ হ্যান্ডবুক, যেখানে এআই টুল দিয়ে ডেটা খোঁজা, সোর্স যাচাই ও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কার্যকর টিপস রয়েছে। আর তৃতীয় অংশ সাধারণ পাঠকের জন্য—যেখানে সহজ ভাষায় বোঝানো হয়েছে এআই-এর সুযোগ ও ঝুঁকি, ডিপফেক কিংবা ভুয়া খবর চিনে ফেলার কৌশল।

কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারী লেখক মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ ২০০৩ সাল থেকে এক ডজনেরও বেশি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বই প্রকাশ করেছেন। তাঁর লেখা “ওয়েব ডেটাবেজ অ্যাপ্লিকেশন: মাইএসকিউএল-পিএইচপি” ছিল বাংলা ভাষায় ওয়েবসাইটের ডেটাবেজ ও অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের প্রথম বই, যার জন্য তিনি ২০২১ সালে ‘বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড’- পান।

মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ এর লেখার ধরন প্রাণবন্ত ও পাঠকবান্ধব। কোথাও টেকনিক্যালি সিরিয়াস, আবার কোথাও রসিক তুলনা—ফলে বই পড়তে গিয়ে মনে হয়, যেনো বন্ধুর সাথে আড্ডায় বসে নতুন নতুন হ্যাক শিখছেন।

এই বই পড়ার বিশেষ কারণও আছে। যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান কিন্তু পথ পাচ্ছেন না, যারা সাংবাদিকতা করছেন আর ডেটা টুলসের ম্যাজিক শিখতে চান, কিংবা যারা সাধারণ পাঠক হিসেবে এআই কীভাবে জীবন বদলাচ্ছে তা জানতে আগ্রহী—তিন শ্রেণির পাঠকের জন্যই বইটি সমান উপযোগী। সব মিলিয়ে, “এআই শিখুন, টাকা গুনুন” শুধু একটি বই নয়, বরং এআই যুগে টিকে থাকা এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য এক ধরনের পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ।

মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ বলেন, এই বইটি পড়ে এআই দিয়ে আয় করার অনেকগুলো দারুণ উপায় রয়েছে তা জানতে ও শিখতে পারবেন।আপনি চাইলে এআই কনটেন্ট টুল ব্যবহার করে লেখালেখির সার্ভিস অফার করতে পারেন। আবার এআই দিয়ে ব্র্যান্ড এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করার কাজও করতে পারেন। যারা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) নিয়ে কাজ করে, তারা এআই–চালিত এসইও সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারে। এমনকি আপনি চাইলে নিজস্ব জিপিটি বানিয়ে সেটি বিক্রিও করতে পারেন।শিল্প আর সৃজনশীলতায় আগ্রহ থাকলে এআই–জেনারেটেড আর্ট বা ছবি তৈরি করে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করা দারুণ একটি পথ। একইভাবে, এআই–চালিত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড অ্যাডভার্টাইজিং ম্যানেজমেন্ট এবং অপটিমাইজেশনও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভাষান্তর আর লোকালাইজেশন সার্ভিসে এআই ব্যবহার করে আয় করা যায় সহজেই।ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি ও বিক্রি, কিংবা এআই নিয়ে টিউটরিং এবং অনলাইন কোর্স অফার করাও অনেক সম্ভাবনাময়। আপনি চাইলে এআই–চালিত ওয়েবসাইট বানাতে্ পারেন অথবা ইমেইল মার্কেটিং সার্ভিস দিতে পারেন। ব্যবসাগুলোর জন্য কাস্টম এআই চ্যাটবট তৈরি করা, মোবাইল অ্যাপ বানানো, এমনকি লিড জেনারেশন অটোমেশনেও এআই ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে।সবশেষে, ডেটা সংগ্রহ, ম্যানেজমেন্ট এবং বিশ্লেষণে এআই এখন এক অসাধারণ সহকারী। এআই–চালিত কনটেন্ট তৈরি করে ভিডিও প্ল্যাটফর্ম থেকেও আয় করা সম্ভব।