যাদের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল কম্বোডিয়া

সোমবার, আগস্ট ২৫, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কম্বোডিয়া। সোমবার (২৫ আগস্ট) দেশটির পার্লামেন্ট এ আইন পাস করে।

বিশ্লেষকরা এটিকে বিরোধীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলা ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির অব্যাহত দমন-পীড়নের মধ্যে একটি নতুন পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কেউ অন্য দেশের সঙ্গে মিলে কম্বোডিয়ার স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে বা দেশটির সার্বভৌমত্ত্বের ক্ষতি করবে বা আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জাতীয় নিরাপত্তাবিরোধী কোনও কাজ করে তাহলে তাদের নাগরিত্ব বাতিল করা হবে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির পাঁচ আইনপ্রণেতা বাদে সবাই এই আইনটি অনুমোদন দিয়েছে। যদিও কম্বোডিয়ার রাজা এখনও আইনটিতে অনুমোদন দেননি।

জুনে তিন যুগ ধরে কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় থাকা হান সেন বলেন, বিদেশিদের সঙ্গে আঁতাতকারীদের বিরুদ্ধে কম্বোডিয়ার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, গ্রেফতার এড়ানোর জন্য কম্বোডিয়ার বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। এর মধ্যে স্যান র‌্যানজি ও মু সোচুয়া অন্যতম। তারা নিষিদ্ধ কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তবে আইনটির ওপর সংসদে ভোটের আগে অধিকার বিষয়ক ৫০টি গ্রুপ সতর্ক করে জানিয়েছে, ওই আইনটি কম্বোডিয়ার মানুষের নাগরিকদের বাক স্বাধীনতার ওপর প্রভাব ফেলবে। বলা হয়েছে, সরকারের হাতে অনেক ক্ষমতা আছে। তবে কে কম্বোডিয়ার নাগরিক, আর কে নয় তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা তাদের থাকা উচিত নয়। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট