লাইফস্টাইল ডেস্কঃ শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে সুষম খাদ্যগ্রহণ। ফলমূল-সবুজ শাকসবজির মতো শস্যজাতীয় খাবারও অনেক পুষ্টিকর। ওটস একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। আমিষ, উপকারী শ্বেতসার এবং তন্তু বা ফাইবারজাতীয় পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ খাবার ওটস। ওটসে থাকা বেটা-গ্লুকন নামক উপাদান কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, প্রতিদিন ওটস খেলে তার নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। যেমন-

ওজন কমায়ঃ ওটসে বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর আমরা যদি সকালে ওটস খেতে পারি তাহলে সারা দিন আর ভারী খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কেননা, ওটসের কারণে পেট ভর্তি থাকে। এ ছাড়া নিয়মিত ওটস খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব। তাই আপনি যদি পুষ্টি ঠিক রেখে ওজন কমাতে চান নিয়মিত ওটস খেতে পারেন।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ ওটসে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপকে কমাতে সাহায্য করে। এর সাথে সাথে আমাদের রোগ প্রতিরোগক্ষমতাও বাড়ে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ অনেকেই কনস্টিপেশন সমস্যায় ভোগেন। এটি হওয়ার কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এ ছাড়া সঠিক সময় এবং সঠিক খাবার না খাওয়া। তবে ভালো উপায় হচ্ছে আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে প্রতিদিন ওটমিল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ ওটস খারাপ (এলডিএল) কোলেস্টরলকে (LDL cholesterol) নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে আমাদের হৃদ্‌রোগের শঙ্কাও অনেক কমে যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ ওটস ওজন কম করার সাথে সাথে রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ওটসের ফাইবার ইনসুলিনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের ওটস খাওয়া অত্যন্ত লাভদায়ক।