ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১১ ফেব্রুয়ারি। ‘শান্তি শপথে বলীয়ান’ এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৯৭৬ সালের এক ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ডিএমপি।
এরপর থেকে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে দায়িত্ব পালন করছে ডিএমপি।
শনিবার ডিএমপি সদরদপ্তরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, জাতির বিপদের দিনে সব সময় সবার আগে এগিয়ে এসেছে ডিএমপি। আইনশৃঙ্খলা মোকাবেলায় নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে তারা। কর্তব্য পালনের পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় মানবিক পুলিশ হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি।
ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ে। সেই সময় কর্মহীন মানুষের পাশে খাবার নিয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে যা প্রয়োজন হয়েছে সেটা দিয়েছে। এমন কি অসুস্থদের হাসপাতালে এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষকে কবরস্থ করতে কাজ করেছে ডিএমপির পুলিশ সদস্যরা।
এসময় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর ডিএমপি থেকে একটি বনাঢ্য র্যালি বের হয়ে রাজারবাগে মূল অনুষ্ঠানে রওনা হয়। এতে ডিএমপির উধ্বর্তন কর্মকর্তা ও সদস্যরা ছিলেন।
১২টি থানা নিয়ে যাত্রা শুরু করা ডিএমপির এখন ৫০টি থানা। জনবল ৩৪ হাজার। কর্মক্ষেত্রে কাজের পরিধি বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ডিএমপিকে।