রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে  গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, খালেদা জিয়াকেও মুক্ত করতে হবে –গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৬, ২০২৩

সৈয়দা সনিয়া আখতার:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যেকোনো মুল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে সফল হতে হলে ঐক্যবদ্ধের বিকল্প নেই। কেননা, আওয়ামী লীগ সরকারের হাত থেকে জনগণের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির লড়াই-সংগ্রাম চলবে। আমরা জনগণকে মুক্ত করতে চাই, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চাই, আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে চাই। এই মুক্তি আমরা যতক্ষণ না পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

 

বুধবার জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস পার্টি সেন্টারে সকালে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি উপস্থিত অতিথি ও সারাদেশ থেকে আগত কাউন্সিলরদের অভিবাদন জানান।

 

জাসাসের আহবায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকনের উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জলসহ জাসাস জাসাস সেন্ট্রাল জাসাস উত্তর,দক্ষিণ এবং সারাদেশের ৬০ জেলার শীর্ষনেতারা।

 

গয়েশ্বর বলেন, দেশের জনগণের একটাই দাবি-নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই মুদ্রা পাচারকারী সরকারকে এ দেশের জনগণ আর দেখতে চায় না। কিন্তু এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাধারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে আশা করছি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবো এবং দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ, তাদের মালিকানা ফেরত দিতে পারবো।

 

আন্দোলনের জাসাসের অনেক ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন মানুষকে আকৃষ্ট করে।সহজেই সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসে। তাই আগামী দিনে আন্দোলনে সাংস্কৃতির বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যেমন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতা আর গানের মধ্যদিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে অধিকার আদায়ের শিহরণ তুলেছিল।

 

সভাপতির বক্তবে জাসাসের আহবায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে জাসাসের দায়িত্ব দেন। এরপর ঢাকাসহ সারাদেশের জাসাসের ইউনিটগুলো ঢেলে সাজানোর উদ্যোন নিয়েছি। সাংগঠনিকভাবে কর্মীসভা করে যোগ্যনেতাদের খুজে কমিটি দিয়েছি। চেস্টা করেছি জাসাসকে শক্তিশালী সংগঠণ হিসেবে গড়ে তুলতে।

 

জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন বলেন, জাসাস সংগঠণকে শক্তিশালী করতে প্রতিটি জেলায় গিয়ে কর্মী সভা করেছি। এ পর্যন্ত ৬০ জেলায় কমিটি দিয়েছি। যেখানে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা নিরসনের জন্য আপ্রাণ চেস্টা করেছি। সেইসাথে বিএনপি ঘোষিত সব কর্মসূচিতে জাসাস সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। আগামীতে সরকার বিরোধী যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে সামনে সারিতে থাকবে জাসাস।