
স্টাফ রিপোর্টার।।
খন্দকার ছদরুল আমিন হাবিব, যিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
খন্দকার বনি আমিনের বড়ো ছেলে খন্দকার ছদরুল আমিন হাবিব( ৬৯) রাজবাড়ী জেলার কালুখালি ইউনিয়নের মাঝবাড়ি গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।
খন্দকার ছদরুল আমিন হাবিব বলেন, রাজনীতিতে আমার অতীত অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে, রাজবাড়ী-২ আসনে আমার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ,যদি ও আমার সংসদ সদস্যের মেয়াদ ছিলেন সংক্ষিপ্ত এই স্বল্প সময়ের মধ্যে একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে বড় ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করা কঠিন হলেও, আমার ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভূমিকা আমাকে জনগণের কাছাকাছি এনেছিল। বিশেষ করে, ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপিতে যোগদান করি এই সব কিছুই আমার রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও আদর্শের প্রতি অঙ্গীকার প্রমাণ করে।
রাজবাড়ী-২ আসন, যা পাংশা, কালুখালী এবং বালিয়াকান্দি উপজেলা নিয়ে গঠিত, সেখানকার মানুষের কাছে তার এই অতীত সংযোগ ও পরিচিতি একটি সম্পদ।রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির মতো একটি দলের জন্য, খন্দকার ছদরুল আমিন হাবিবের মতো অভিজ্ঞ নেতাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে তার অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের একত্রিত করা এবং নতুন নেতৃত্ব তৈরিতে তিনি দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সুবাদে তার যে জনসম্পর্ক রয়েছে, তা ব্যবহার করে তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারেন এবং দলের বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তার অংশগ্রহণ এবং জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা আগামী দিনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিকে জোরদার করতে সহায়ক হতে পারে, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের তার অভিজ্ঞতা তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হতে পারে।কেবল নির্বাচনকালীন সময়ে নয়, সারা বছর ধরে তিনি এলাকার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সরব থাকতে পারেন এবং সরকারের কাছে তা তুলে ধরতে পারেন। এলাকার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জনগণের কাছে যেতে পারেন। দলের অভ্যন্তরীণ বিভেদ নিরসনে ভূমিকা রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন, যা নির্বাচনী সফলতার জন্য অপরিহার্য।
খন্দকার ছদরুল আমিন হাবিবের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা রাজবাড়ীর রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তার অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হয়ে তিনি রাজবাড়ী-২ আসনে আবারও জননেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে পাবেন।