রাফাহ খালি করে দিতে বলল ইসরায়েলের সেনা

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার শহর রাফাহ খালি করে দিতে বলল ইসরায়েলের সেনা। সেখানকার সব মানুষকে চলে যেতে বলা হয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রাফাহ এবং বেশ কয়েকটি পুরসভা এলাকা খালি করে মানুষকে চলে যেতে বলল। সোমবার সেনা মুখপাত্র এই কথা জানিয়েছেন।

একতরফা যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরাইলের সেনারা ফের গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে। তারা স্থলপথেও আক্রমণ করছে।

নতুন করে বোমা হামলা এবং ত্রাণসাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার ফলে গাজায় ১০ লাখ শিশু ভয়ংকর বিপদে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি গাজার বাচ্চাদের কাছে আশার আলো নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সেই বাচ্চারা আবার নতুন করে ভয়ংকর সহিংসতার চক্রের মধ্যে পড়েছে।

২ মার্চ থেকে গাজায় কোনো ত্রাণসাহায্য পাঠাতে দেওয়া হচ্ছে না। খাবার, জল ও চিকিৎসা সংকট বেড়েছে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি

গত ১৮ মার্চ ইসরায়েলের সেনা আবার গাজায় বিমান হামলা শুরু করে। তার ফলে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে দাবি করেছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দপ্তর।

গত ৪৮ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮০ জন। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ইইউসহ কয়েকটি দেশ।

স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আক্রমণে ৫০ হাজার ৩৫৭ জন মারা গেছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর এর মধ্যে কতজন হামাস সদস্য এবং কতজন বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন তা জানায়নি। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করে, এই হিসাব মোটের ওপর ঠিক আছে।

গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে অর্ধেক শিশু এবং জাতিসংঘ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।

হামাস ইসরায়েলে ঢুকে এক হাজার দুইশ মানুষকে হত্যা করার পর ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ৩২২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। ইউনিসেফ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের আক্রমণের জেরে ৩২২ জন শিশু মারা গেছে, ৬০৯ জন আহত হয়েছে। সেমবার ইউনিসেফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই শিশুরা মূলত ভেঙে পড়া বাড়ি বা তাঁবুতে ছিল।