‘‘রেমিটেন্স যোদ্ধা লন্ডন প্রবাসী শিপনের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ’’

রবিবার, আগস্ট ১৩, ২০২৩

 

জাতির সংবাদ ডটকম ডেস্ক : ‘আপন দেশ ডট কম’ নামে একটি অনলাইন পোর্টালে “ইংল্যান্ডে প্রতারণাই শিপনের পেশা” সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা লন্ডন প্রবাসী মো. জাহান কবির শিপন।

 

গত ২৬ জুলাই ২০২৩ সময় ১৬.০০ টায় ‘আপন দেশ ডট কম অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত “ইংল্যান্ডে প্রতারণাই শিপনের পেশা” সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা লন্ডন প্রবাসী মো. জাহান কবির শিপন।

তিনি বলেন, গত ১৯ জুন ২০২৩ ইং তারিখে ‘‘লকিয়ত উল্লাহর আক্রোশের শিকার প্রবাসী শিপনের পরিবার’’ শিরোনামে প্রকাশিত একাদিক জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনের সংবাদের কারণে ‘বায়োফার্মা লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লকিয়ত উল্লাহর আক্রোশে এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা শুধু একটি গল্প।

 

বাংলাদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা লন্ডন প্রবাসী মো. জাহান কবির শিপন বলেন, ২০০৮ সালে লন্ডনে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য যাই। লেখাপড়া শেষে সে সেখানেই ব্যবসা বাণিজ্য করে স্থায়ী হই। কঠোর পরিশ্রম করে লন্ডনে ব্যবসা বাণিজ্যে ভালো অবস্থান গড়েছি। পরে দেশে বিয়ে করে বউকেও লন্ডন নিয়ে এসেছি। গত ১৫ বছরে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে কয়েক কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠিয়েছি। যা আমাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের চলার পথ অনেক সহজ করেছে। সব মিলিয়ে আমাদের সংসার আনন্দ খুশিতে ভরপুর।’

 

তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে হঠাৎ করে আমার বাবার পূর্ব পরিচিত একজন ছাত্র ডা. লকিয়ত উল্লাহ আমাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ায়। যার বাড়ি আমার জন্মস্থানের এলাকাতেই। এর কিছুদিন পর ডা. লকিয়ত উল্লাহ তার ব্যবসায়িক কাজের জন্য স্ত্রী সন্তানসহ লন্ডন আসেন। আসারপর টানা ৮/১০ দিন আমার বাসায় ছিলেন। এরপর সে দেশে গিয়ে আমাদের পরিবারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখেন ও আসা যাওয়া করেন।’

 

শিপন আরও বলেন, ‘২ বছর পর ২০২২ সালে এপ্রিলে পুনরায় লন্ডনে আসেন ডা. লকিয়ত উল্লাহ ও তার স্ত্রী সন্তান। মূলত লতিয়ত উল্লাহর স্ত্রীর ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ায় তারা চিকিৎসার জন্য লন্ডন এসেছিলেন বলে আমি জানতাম। এবারও লকিয়ত উল্লাহ ও তার পরিবার আমার বাসায় ওঠেন। যেহেতু চিকিৎসা করাতে এসেছেন, তাই আমার পিতার ছাত্র হিসেবে লকিয়ত উল্লাহর স্ত্রীর চিকিৎসার যাবতীয় দিক তদারকি করে থাকি। চিকিৎসার সব খরচ ও তাদের খাওয়া দাওয়ার যাবতীয় খরচ বহন করি।’

 

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা শেষ হলেও ডা. লকিয়ত উল্লাহ ও তার স্ত্রী সন্তান আমার বাসা থেকে যেতে চাচ্ছিলেন না। উল্টো লকিয়ত উল্লাহ তার সন্তানদের আমার বাসার ঠিকানা ব্যবহার করে লন্ডনের স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করান। এমনকি লকিয়ত উল্লাহ আমার অনুমতি ছাড়া আমাকে গ্যারান্টার হিসেবে দেখিয়ে তার স্ত্রীর জন্য লন্ডন সরকারের কাছে এসাইলাম ক্লেইম বা রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেন। রাজনৈতিক আশ্রয়ে ডা. লকিয়ত উল্লাহ লন্ডন সরকারের কাছে নিজেকে জামায়াত নেতা হিসেবে দাবি করে বাংলাদেশে তার স্ত্রী সন্তানের জীবনের ঝুকি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।’ এই বিষয়টি নিয়ে আমরা মা জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন যা বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে।

 

শিপন বলেন, লকিয়ত উল্লাহর লন্ডনে আমার বাসা দখলের চেষ্টা করায় আমি ক্লেইম করাতে দেশে আমার পরিবারের ওপর আক্রোশে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেছেন এবং এখনোও একটি মহল দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন।