মোঃ মোহনা আলী : শনিবার সকাল ১১ টায় কেরানীগঞ্জর কালিগঞ্জের নিজ বাসভবনে লঞ্চ ব্যবসায়ী মো,আশরাফুল আলম জাহিদের নিঃশর্ত মুক্তি ও গায়েবি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মা হাজী আয়েশা বেগম,বড় বোন ওহিদা পারভিন, মেঝ ভাবি অপুমা ও ভাই রাসেল মেলকার আয়শা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মেঝ ভাবি অপুমা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন।আমার ছোট ছেলে মোঃ আশরাফুল আলম জাহিদ (৩২) কে গত ১৫ইং জানুয়ারী রোজ বুধবার আনুমানিক দুপুর ৩.৩০টার সময় কালীগঞ্জ তেলঘাট এলাকা থেকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। নেয়ার পর আমরা পরিবারের সদস্যরা থানায় গেলে জানায়। আমার ছেলে আশরাফুল আলম জাহিদের নামে নাকি ধানমন্ডি মডেল থানায় বিস্ফোরণ আইনের মামলা রয়েছে। যাহার নং ০৭, তারিখঃ ১২/১২/২০২৪ইং, ধারা ১৪৩/১৪৭/৩২৩/৩০৭/১১৪/৩৪ পেনাল কোড। উক্ত মামলায় আমার ছেলে আশরাফুল আলম জাহিদকে এজাহারে ২৪নং আসামী করা হয়। যাহাতে আমার ছেলে কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সদস্য ও সাবেক মেয়র তাপসের অস্ত্রধারী ক্যাডার উল্লেখ করা হয়। আমার ছেলে আশরাফুল আলম জাহিদ একজন লঞ্চ ব্যবসায়ী যে দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সহিত লঞ্চ ব্যবসা করে আসছে। আমার ছেলে জাহিদ সহ বাকি ছেলেরা কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। উক্ত গায়েবি মামলায় আমার ছেলেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সদস্য উল্লেখ করায় আমি হতবাক! তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন। গত ১৬ই জানুয়ারী রোজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ১ কেরানীগঞ্জের অন্য ১টি মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে
কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা পুলিশ
আদালতে প্রেরণ করে।কেরানীগঞ্জ মামলা নং ০৬, তারিখ ১৫/০৮/২৪ বিস্ফোরণ আইনে এ মামলার এজাহারে আমার ছেলের নাম নাই।
এসময় বৃদ্ধা মা আয়েশা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন।তিনি বলেন।আমার ছেলেকে মিথ্যা, বানোয়াট, গায়েবী মামলায় আটক করে পুলিশ, সে বর্তমানে জেল হাজতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমি বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। সেই সাথে আমার নিরাপরাধ ছেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী সহ সকল গায়েবী মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনে।
