শাহসুফি সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভান্ডারীর (ক.) ইন্তেকালে কাদের গনি চৌধুরীর শোক

বুধবার, জুলাই ২৩, ২০২৫


জাতির সংবাদ ডটকম।।

‎চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবার শরিফের অন্যতম আধ্যাত্মিক পুরুষ আলহাজ শাহসুফি ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভান্ডারীর (ক.) ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী।

‎আজ বুধবার (২৩ জুলাই) এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, তরিকতের প্রচার প্রসার ও মাইজভান্ডারী তরিকার মূল নির্যাস মানবকল্যাণে নিবেদিত ছিলেন তিনি। তিনি শুধু তরিকতের প্রচারকই নন, মানুষকে আলোর পথ দেখানোর জন্য যেমন কাজ করেছেন, তেমনি মানুষের যেকোনো দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার পরিচয় দিতেন।

‎আমি তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তায়ালা তার জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তার শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

‎আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি ইহধাম ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

‎আজ বাদ এশা মাইজভান্ডার শরীফ শাহী ময়দানে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

‎ডা. দিদারুল হক মাইজভান্ডারী অলিয়ে কামেল শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীর (ক.) ছোট ভাই। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তাদের তিন ভাই ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন।

‎উল্লেখ্য, ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভান্ডারী ছিলেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন এবং অছিয়ে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (ক.) মনোনীত মোন্তাজেম ও জিম্মাদার ছিলেন।

‎তিনি গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (ক.)-এর একজন আওলাদ এবং মাইজভান্ডার দরবার শরিফের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন এবং মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি তরিকতের আলোচনা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন এবং মাইজভান্ডারী তরিকার শিক্ষা ও আদর্শ প্রচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।