জাতির সংবাদ ডটকম।।
শুধু ডামি প্রার্থী আর ডামি দল নয় গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করতে আওয়ামীলীগ এবার রাষ্ট্রীয় বিপুল টাকা ব্যয় করে ডামি পর্যবেক্ষকও এনেছে বলে অভিযোগ করেছে এবি পার্টি। গণতন্ত্র ধ্বংসকারী প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ঢাকায় আয়োজিত আজ এক প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এবি পার্টি নেতারা বলেন যেসব দেশে সাংবিধানিকভাবে গণতন্ত্র নেই, যারা নিজেরাই দূর্নীতি ও অনৈতিক আচরণের জন্য দন্ডিত এবং নীতিগতভাবে ফ্যাসিবাদের সমর্থক এরকম ডামি পর্যবেক্ষক এনে একটা জন প্রত্যাখ্যাত নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়ার চেষ্টা খুবই হাস্যকর এবং সরকারের দেউলিয়াত্বের নির্লজ্জ প্রমাণ।
আজ বিকেল তিনটায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে একতরফা গণতন্ত্র ধ্বংসকারী প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এই প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন দলের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগ এমন এক প্রহসনের নির্বাচন করেছে যেখানে কুকুর, বিড়াল আর ভেড়ার পাল হাজির হয়েছে কোন ভোটার হাজির হয়নি। সাংবাদিক আর বিদেশি দেখলেই ডামি ভোটার লাইন দাঁড় করিয়েছেন, সাংবাদিকও নাই লাইনও নাই। তেমনি কিছু সাদা চামড়ার মানুষ ভাড়া করে, ডামি পর্যবেক্ষক নিয়ে আসা হয়েছে। এই প্রহসনের নির্বাচন জাতি মেনে নেয়নি, গণতান্ত্রিক বিশ্ব মেনে নেয়নি। এই অবৈধ সংসদ আমরা চলতে দিতে পারিনা, আমরা গণতান্ত্রিক বিশ্বকে বলবো একটি একতরফা প্রহসনের নির্বাচনকে আপনারা স্বীকৃতি দিবেন না। এই সংসদ আমরা মেনে নিবোনা, জাতিও মেনে নেবেনা।
বিএম নাজমুল হক বলেন, ১৯৭১ এর পর থেকে যখনই আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা জনগণের অধিকার হরণ করে নিয়েছে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। জনগণের ভোটের অধিকার তারা লুট করে নিয়েছে। এখন এই সরকার পতনের আন্দোলন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। প্রয়োজনে আমরা আবার রক্ত দিবো, দেশকে বাকশাল মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘ফেলানী দিবসে’ প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী দখলদারদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। আওয়ামীলীগ যেন আমাদের বলছে উত্তর কোরিয়া, বার্মা, বেলারুশ আর কম্বোডিয়াতে আপনাদের স্বাগতম। তিনি বলেন, সকলে মিলে আমাদের নতুন পরাধীনতার শৃঙ্খল উদযাপন করব নাকি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আর গনতন্ত্রের জন্য জীবন বাজি রেখে লড়াই করব – সেটা দেশপ্রেমিক জনগনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকবেন নাকি দাসত্বের জীবন বেছে নেবেন, সেটা জাতিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চীনা কম্যুনিষ্ট পার্টির মত সংসদে সরকারী দল, বিরোধী দল সকলেই একই দলের সদস্য। ১৯৭৪ সালের পরিকল্পনা মোতাবেক চতুর্থ সংশোধনীর আদলে একদলীয় বাকশাল কায়েম সম্পন্ন হলো ২০২৪ সালে।
প্রতিবাদী অবস্থানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আলী নাসের খান, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, হাসান মাহমুদ শাহীন, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফ সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।