জাতির সংবাদ ডটকম: বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা আজ বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধবিহারগুলোতে বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনাসভা, প্রভাতফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মহামতি বুদ্ধ একটি সৌহার্দ ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। আজকের এই অশান্ত ও অসহিষ্ণু বিশ্বে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ, যুদ্ধবিগ্রহ, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগত হানাহানি রোধসহ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহামতি বুদ্ধের দর্শন ও জীবনাদর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমি মনে করি।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আজ বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য এক সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাথে রাষ্ট্রপ্রধান এবং তার পত্নী রেবেকা সুলতানা বিকাল ৪টায় শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গতকাল গণমাধ্যমকে জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, বিদেশি কূটনীতিক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি মিশনের প্রধানরাও উপস্থিত থাকবেন।
দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ ও লালন করে সবাই বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবেন।
বৌদ্ধ ধর্ম মতে, আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর অপর নাম দেওয়া হয় ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’। ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণ- এই স্মৃতিবিজড়িত এই দিনটিকে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসেবে পালন করেন বুদ্ধভক্তরা।