শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ  ভারতের এজেন্ট : এম এ মালিক

রবিবার, অক্টোবর ২৭, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ভারতের এজেন্ট ছিল বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এম এ মালিক। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল চারটায় পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খানের পরিচালনায় আরও বক্তৃতা করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী হালিম, সহ-সভাপতি ওয়াদুদ, সাপ্তাহিক জয়যাত্রা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

 

এম এ মালিক বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনা শুধু ইন্ডিয়া-ইন্ডিয়া করেছে। তারা এ কথা প্রমাণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে ইন্ডিয়া আমাদের সহায়তা করেছে পয়সার বিনিময়ে। ১৭ বছর তো দেশ নিয়েই গেছিলো, মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে আন্ডারমাইন্ড করেছিলো। রামপাল, সমুদ্র বন্দর, করিডোর সবই নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের বিভিন্ন উচ্চ বিলাসী সংস্থা ইন্ডিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ছিলো ভারতের এজেন্ট। গণতন্ত্র ও হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষ গুম, খুন, হত্যা ও নির্যাতনকারী হাসিনা সরকার ও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীকে ভারত অন্যায়ভাবে আস্রয় দিয়ে প্রমান করেছে তাদের দালাল আওয়ামীলীগ। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার দেশকে অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে হাসিনা। আজকে বাংলাদেশের দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীন হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবন দিয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থান ১৭ বছরের আন্দোলনের ফসল। ১ দিনে বাচ্চা জন্মায় না। ১৭ বছর বিএনপির আন্দোলন ছিলো মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। বিএনপির আন্দোলন ছিলো মানুষের কথা বলা বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, যার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যুক্তরাজ্য বিএনপি এই নেতা বলেন, ড. ইউনুসের নেতৃত্ব অতিদ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। দেশের গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন হয় না। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে জাতীয় সরকার গঠন করবে। মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রবাসীদেরও মূল্যায়ন করা হবে। যারা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলেন তাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা ছিলেন সবাইকে মূল্যায়ন করা হবে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টও তৈরি করার কথা তারেক রহমান বলেছেন। এসময় বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, যারা আজকে সংস্কারের কথা বলে যারা নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছেন। সময় ক্ষেপণ করছেন। আপনাদেরকে বলবো পতিত স্বৈরাচার বরাবর ষড়যন্ত্র করছে, গণঅভ্যুত্থানকে নসাৎ করতে। আজকে যারা ভোট পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে, তারা স্বৈরাচারের দালাল। ভোট পেছালে ষড়যন্ত্র বাড়বে। আব্দুস সালাম বলেন, শেখ হাসিনার বিদায় হয়েছে কিন্তু স্বৈরাচারের দোসরারা বিদায় হয়নি। জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো আওয়ামী স্বৈরাচার। শেখ হাসিনা মনে করেছিলো সুষ্ঠু ভোট দিলে বিএনপি চলে আসবে, তারেক রহমান চলে আসবে। ভোট পেছালে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে অনেকে অনেক কিছু করার চেষ্টা করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য বিএনপি এই নেতা বলেন, এই সরকারকে আমরা এনেছি, আমরা চাই এই সরকার সফল হোক। এই সরকার সফল না হলে আবারও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যাবে।অনতিবিলম্বে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, এমন কিছু করা যাবে না যাতে বিএনপি বদনাম হয়। ১৬ বছর অনেকে ব্যবসা হারিয়েছেন, চাকরি হারিয়েছেন। অনেকের জীবন বিপন্ন হয়ে গেছে। ভোটের পর যারা চাকরি ও ব্যবস্যা হারিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এম এ মালিক কে ক্রেস্ট প্রধান করে। বিভিন্ন জেলার ও মহানগর কমিটির পক্ষ থেকেও ফুলের মালা ও তোড়া উপহার দেন।